১৬ জানুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার, ২:০৮

শতফুল ফুটতে দাও

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে পুঁজিবাজার

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ যোসেফ ই. স্টিগ্লিৎজের নামটির সঙ্গে অনেক শিক্ষিত বাংলাদেশিই পরিচিত। এদের একটি অংশ তার লেখালেখির সঙ্গেও পরিচিত। নোবেল প্রাইজ পাওয়ার আগে স্টিগ্লিৎজ যেসব গবেষণামূলক প্রবন্ধ নিবন্ধ লিখেছেন সেগুলোর সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনোরকম পরিচয় নেই বললেই চলে।

গাণিতিক ভাষায় লেখা ওইসব প্রবন্ধ অনেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদের পক্ষেও বুঝে ওঠা কঠিন। নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পর স্টিগ্লিৎজ অনেক বই লিখেছেন। এগুলো সাধারণ পাঠকদের জন্য বেশ বোধগম্য।

অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া পণ্ডিতবর্গের আগেকার লেখাজোখার সঙ্গে নোবেল পাওয়ার পবর্তী লেখাজোখার তুলনা করলে দেখা যাবে এরা অর্থনীতি শাস্ত্রের জটিল বিষয়গুলো আমজনতার বোঝার উপযোগী করে লিখেছেন।

স্টিগ্লিৎজের সাম্প্রতিকতম প্রকাশনার মধ্যে রয়েছে People, Power, and Profits: Progressive Capitalism for an Age of Discontent. এ বইটি ২০১৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের W. W. Norton & Company এবং ব্রিটেনের Allen Lane একই বছর প্রকাশ করেছে।

বইটির প্রতিটি অধ্যায় খুবই আকর্ষণীয় এবং পাঠকদের জন্য নতুন চিন্তার খোরাক জোগায়। এ বইটির ষষ্ঠ অধ্যায়ের শিরোনাম হল The Challenge of New Technologies. অর্থাৎ নতুন প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রচলন ও ব্যবহারের প্রচেষ্টা চলছে। কৃষির ক্ষেত্রেও নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য স্টিগ্লিৎজের এ অধ্যায়টি থেকে শেখার এবং উপলব্ধি করার অনেক কিছু আছে।

সিলিকন ভ্যালি এবং এর সঙ্গে যুক্ত প্রযুক্তি মার্কিন উদ্ভাবনা ও উদ্যোগের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্টিভ জবস এবং মার্ক জুকারবার্গের মতো বিশাল ব্যক্তিত্ব পৃথিবীব্যাপী ভোক্তাদের জন্য এমন কিছু পণ্যসামগ্রী নিয়ে এসেছেন যেগুলো তারা পছন্দ করে এবং এগুলো ব্যবহার করে একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ সহজতর করা যায়।

Intel যেসব চিপস উৎপাদন করেছে সেগুলোর সাহায্যে আমাদের ব্যবহৃত পণ্যগুলো দ্রুততর চিন্তা করতে পারে এবং দ্রুততরভাবে হিসাব-নিকাশও করতে পারে। পৃথিবীর সেরা মস্তিষ্ক দিয়ে এত দ্রুত এসব করা সম্ভব হতো না।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) এখন শুধু মানুষকে দাবা খেলার মতো সাধারণ খেলায় পরাস্ত করতে পারে না, উপরন্তু Go-এর মতো আরও জটিল বিষয়েও পরাস্ত করতে পারে। Go ব্যাপারটি কী, একটু বুঝিয়ে বলা দরকার।

সারা বিশ্বে যত পরমাণু আছে তার চেয়েও সম্ভাব্য চালের (Moves) সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। বিল গেটস সম্ভবত মার্কিন চেনতার সবচেয়ে ভালো দৃষ্টান্ত। তিনি ১৩৫ বিলিয়ন ডলার জমিয়েছেন।

এ অর্থ থেকে তিনি বড় ধরনের দান কর্মের সূচনা করেছেন। তিনি বিশ্বব্যাপী রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন।

এসব সৎ কর্মের পাশাপাশি প্রযুক্তির অগ্রযাত্রাজনিত অন্ধকার দিকও রয়েছে। বর্তমান জমানায় প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার ফলে বহু মানুষের কর্মহীন হয়ে পড়ার মতো উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তা ছাড়া এসব নতুন শিল্প বিপুলসংখ্যক অপকর্মের জন্ম দেয়ার বিপদও সৃষ্টি করেছে। যেমন বাজার ক্ষমতার কেন্দ্রিকরণ, মানুষের ব্যক্তিগত জগতে আগ্রাসন চালানো এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে নেতিবাচকভাবে ব্যবহার।

কর্মসংস্থানের বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিংশ শতাব্দীতে মানুষ কিছু যন্ত্র তৈরি করেছিল যেগুলোর শক্তি ছিল মানুষের চেয়ে অনেক বেশি। বর্তমানে আমরা এমনসব মেশিন তৈরি করতে সক্ষম যেগুলো দৈনন্দিন কাজের জন্য মানুষের চেয়েও দক্ষ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মানুষের জন্য বিশাল আকারের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমরা এখন এমনসব মেশিন তৈরি করছি যেগুলো শুধু প্রোগ্রামের সাহায্যে কাজ করে না, বরং মানুষের চেয়েও সহজে শিখতে পারে, বিশেষ করে নির্ধারিত কিছু ক্ষেত্রে।

এভাবে মেশিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে মানুষকে অতিক্রম করে যাচ্ছে। উন্নততর শিক্ষা এবং শ্রমিকদের জন্য কর্মপ্রশিক্ষণ সাময়িকভাবে বেদনার উপশম ঘটাতে পারে, কিন্তু এখনকার কম্পিউটারগুলো রেডিওলজিস্টদের স্থলাভিষিক্ত হতে পারে, এমনকি উচ্চ ডিগ্রির ডাক্তারদের চেয়েও কম্পিউটার অনেক নিরাপদ চিকিৎসা দিতে পারে।

ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে স্বয়ংচালিত মোটরগাড়ি ও ট্রাক পরিবহন শ্রমিকদের কাজছাড়া করে দেবে। এ ধারণা যদি সত্য হয় তাহলে খুবই দুশ্চিন্তার কথা।

কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে সড়ক পরিবহন খাত বিশাল কর্মসংস্থানের উৎস। এ খাতে যারা নিয়োজিত থাকে তারা হয় হাইস্কুল পাস অথবা হাইস্কুল ড্রপ আউট। অর্থাৎ এরা কম শিক্ষিত শ্রমিক।

দুশ্চিন্তার বিষয় হল শ্রম পরিহারকারী মেশিন ব্যবহারের ফলে মজুরি কমে যাবে, বিশেষ করে যারা কম দক্ষ শ্রমিক তাদের। বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে। এ সমস্যার সমাধানের জবাব হল শ্রমজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্র আছে যেখানে এটা যথেষ্ট নয়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবট ইত্যাদি দিয়ে জটিল কাজ সহজে শেখা যায় এবং উন্নত শিক্ষিত মানুষের চেয়েও এরা ভালো কাজ করে। এখানে সমস্যাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলোকে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা যদি বাংলাদেশ নিয়ে ভাবি তাহলেও আমাদের গভীর দুশ্চিন্তার কারণ আছে।

বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকরা ভালো বেতন বা মজুরি পায় না কারণ তারা অদক্ষ। সমাধান হিসেবে এসব অদক্ষ শ্রমিককে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে।

কিন্তু যদি কর্মসংস্থান প্রদানকারী দেশগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা রোবট ব্যহার করতে শুরু করে তাহলে আমাদের দেশের গরিব প্রবাসী শ্রমিকদের অবস্থা কী দাঁড়াবে? সুতরাং খুব নিকট ভবিষ্যতে না হলেও ভবিষ্যতে এটা একটা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

অনেকে আছেন যারা বলতে চান, দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তারা অতীতের দিকে তাকাতে পরামর্শ দেন। বাজার সবসময় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। বাজারের বিকাশ অর্থনীতির কাঠামোতে পরিবর্তন এনেছে এবং এর ফলে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হয়েছে।

বিংশ শতাব্দীতে বলা হতো নতুন নতুন মেশিন আবিষ্কারের ফলে শ্রমিকের কর্মদক্ষতা বেড়ে যায় এবং এর ফলে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পায়। উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পেলে সম্পদ সাশ্রয় সম্ভব হয় এবং তা বিনিয়োগ করে উত্তরোত্তর কর্মসংস্থান বাড়ানোও সম্ভব।

তবে এখানে যে দুটি অবস্থার সৃষ্টি হয় তার মাঝখানে একটা ফাঁক থাকে। এ অন্তর্বর্তী সময়ে কিছু মানুষ অবশ্যই বেকার হয়ে পড়ে। এটাকে বলা যায়, এক ধরনের Frictional Unemployment, অর্থাৎ ঘর্ষণজনিত বেকারত্ব। বিংশ শতাব্দীতে যে আশাবাদ ছিল তা এখন কতটুকু অবশিষ্ট আছে সেটাই ভাবার বিষয়।

প্রযুক্তি আশাবাদের প্রবক্তারা হয়তো বেশ বাড়িয়ে বলেছেন। গত শতাব্দীর ৯০-এর দশকের তুলনায় এবং ২য় মহাযুদ্ধোত্তর কয়েক দশকের তুলনায় হাল আমলে উৎপাদিকা শক্তির বৃদ্ধি শ্লথ হয়ে পড়েছে।

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির রবার্ট গর্ডন তার The Rise and Fall of American Growth: The US Standard of Living Since the Civil War গ্রন্থে যুক্তি হাজির করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবনা শ্লথ হয়ে পড়েছে।

এটা সত্য সেখানে Facebook ও Google আছে। কিন্তু বিদ্যুৎ অথবা ঘরের ভেতরের টয়লেট এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের তুলনায় এগুলোর গুরুত্ব খুবই সামান্য। বিদ্যুৎসহ অন্য যেসব উদ্ভাবনার কথা বলা হয়েছে সেগুলো মানুষের স্বাস্থ্য এবং আয়ু বৃদ্ধিতে বিশাল ভূমিকা রেখেছে।

অতীতের এসব অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের পথচলার জন্য সহায়ক নাও হতে পারে। গত শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের একজন শ্রেষ্ঠ গণিতজ্ঞ জন নিউম্যান বলেছেন, এমন একটি অবস্থা আসতে পারে যখন মানুষকে কর্মে নিয়োগদান করে ট্রেনিং দেয়ার চেয়ে একটি মেশিন তৈরি করা কম খরচে সম্ভব হতে পারে।

এ মেশিনগুলো অন্য মেশিন দিয়ে তৈরি করা সম্ভব হবে এবং অন্য মেশিনগুলোও জানবে কীভাবে মেশিন তৈরি করতে হয়। তাহলে উৎপাদনকারী ফার্মগুলোর জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয় হল নিছক মানব শ্রমিকের পরিবর্তে মেশিন ব্যবহার করে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো নয়।

তদুপরি প্রশ্ন হচ্ছে, কী করে সহজ উপায়ে কম খরচে সঠিক মেশিনটির ডিজাইন করা, তৈরি করা এবং ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব। মেশিন তো ধর্মঘট করে না, সুতরাং ফার্মগুলোকে অসন্তুষ্ট শ্রমিকদের পরিচালনা করার জন্য মানবসম্পদ বিভাগ রাখা জরুরি থাকবে না। মেশিনের কোনো আবেগ নেই।

নিউম্যানের ভবিষ্যদ্বাণী কিছু কিছু কাজের ক্ষেত্রে বাস্তবায়িত হয়েছে। মেশিনগুলো এখন রেডিওলজিস্টদের চেয়ে অনেক ভালোভাবে কাজ করতে পারে। তবে ভাবা যেতে পারে এখন যে মানব শ্রমিক কাজ করছে, মেশিন তাদের অচিরেই স্থানচ্যুত করবে। গত পাঁচ বছরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তার ভিত্তিতে এমন কথা বলা যায়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে কিছু অগ্রগতি মানব শ্রমকে প্রতিস্থাপন করবে না। কিন্তু তাদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। এগুলোকে বলা হয় ওঅ অর্থাৎ Intelligence Assisting- Innovations. এসব উদ্ভাবনা শ্রমের চাহিদা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং মজুরিও বাড়িয়ে দিতে পারে।

অতীতের উদ্ভাবনার বৈশিষ্ট্য এ রকমই ছিল। কিন্তু ভবিষ্যতেও এ ধারায় চলবে এমনটি খুব একটা আশা করা যায় না। এমন সম্ভাবনাও রয়েছে অতীতে কর্মসংস্থান সমস্যা যত প্রকট ছিল সেই তুলনায় ভবিষ্যতে আরও প্রকট হবে।

প্রযুক্তিগত উন্নয়ন মেরুকরণের সমস্যার সৃষ্টি করবে। একদিকে খুবই উচ্চমান দক্ষতার কাজের চাহিদা আপেক্ষিকভাবে বাড়বে, অন্যদিকে খুবই নিম্ন দক্ষতার চাকরির প্রবৃদ্ধি বাড়বে কিন্তু মজুরি হবে খুব কম।

মেশিন যখন মানুষের স্থলাভিষিক্ত হবে তখন বেকারত্ব বাড়বে। এ ক্ষেত্রে একটি সন্দেহ উদ্রেককারী কিন্তু প্রায়শ কথিত একটি গল্পের কথা বলতে পারি। গল্পটি হল- ফোর্ড মোটর কোম্পানির প্রধান এবং মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যক্তিবর্গ একটি নতুন প্লান্টের মেঝের দিকে তাকিয়ে কথা বলছিলেন।

এ প্লান্টের বেশিরভাগ কাজ করছিল রোবটগুলো। ফোর্ডের মালিক প্রশ্ন করলেন, কীভাবে আপনারা রোবটের কাছ থেকে ইউনিয়নের চাঁদা তুলবেন? তিনি আরও খোঁচা দিয়ে বললেন, এই রোবটরা তো আপনাদের ইউনিয়নে যোগদান করবে না। ইউনিয়ন নেতারা জবাব দিলেন, কী করে রোবটরা আপনার গাড়িগুলো কিনবে? কারণ রোবটের তো টাকা নেই।

এটাই হল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে উদ্ভাবনার ফলে পুঁজিবাদের সংকট। মনে হতে পারে পুঁজিবাদ খুব স্মার্ট হয়েছে। কিন্তু পুঁজিবাদ এমন এক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে, যেখানে তার উৎপাদিত পণ্য কেনার ক্রেতা থাকবে না। এখানে মার্কসের তত্ত্ব যোগ করে বলতে পারি, পুঁজির আঙ্গিক গঠন বেড়ে যাবে। এটাকে মার্কস বলেছিলেন, Organic composition of capital. পুঁজির ব্যবহার বাড়বে, শ্রমের ব্যবহার প্রকটভাবে হ্রাস পাবে।

ফলে উদ্বৃত্ত মূল্য বা Surplus Value মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে। মুনাফা করা যাবে না। ফলে পুঁজিবাদের চালিকাশক্তির মৃত্যু ঘটবে। এর সমাধান কী? এর সমাধান হল নতুন এক সমাজব্যবস্থা যেখানে মানুষের দৈহিক শ্রমের প্রয়োজনীয়তা থাকবে না বললেই চলে। মানসিক শ্রমের চর্চা অবশ্য অব্যাহত থাকবে।

দৈহিক শ্রম না থাকার ফলে মানুষ অবকাশ ও বিশ্রামের সুযোগ পাবে। নান্দনিক ও শিল্প-সাহিত্যকর্মের চর্চা অনেক বেড়ে যাবে। ভিন্ন অবয়বের সমাজ সৃষ্টি হবে। সেই সমাজ হবে সুন্দরের সাধনার সমাজ। সেই সমাজের মোটো হবে Truth is Beauty, Beauty is Truth.

ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ

https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/267477/