৫ মার্চ ২০১৭, রবিবার, ১২:৪৩

গণতন্ত্রের বিকাশ ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন জরুরি

হাউস অব কমন্সের সেমিনার রুমে সিটিজেন মুভমেন্ট ইউকের আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সুশাসন, মানবাধিকার এবং একটি অবাধ গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে সাইমন ডানজাক এমপি বলেন, দুর্বল নির্বাচন কমিশনের জন্য ২০১৪ সলের ৫ই জানুয়ারি বাংলাদেশে গণতন্ত্রের অপমৃত্যু ঘটেছে। সেদিন প্রধান বিরোধীদলসহ অন্যান্য দলকে বাইরে রেখে একটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্রের বিকাশ ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে একটি অবাধ গ্রহণযোগ্য অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জরুরি। তাই নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিরোধী দলের উদ্বেগের কথা এবং বাংলাদেশে মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি সেটা আমি বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে অবহিত করেছি।

গত বুধবার সন্ধ্যায় বিকালে অনুিষ্ঠত সেমিনারে অংশ নিয়ে লর্ড হোসাইন বলেন, বিশ্বের যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়ছে সেখানেই আমার উদ্বেগের কথা জানাচ্ছি। যুক্তরাজ্যে প্রচুর বাংলাদেশী বসবাসের কারণে তাদের উদ্বেগের কথা আমরা গুরুত্ব সহকারে সরকারের নজরে তুলেধরি। আমরা চাই বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হোক। আমরা সর্বদা আপনাদের পাশে আছি।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। দেশে কেউ আজ নিরাপদ নয়। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি দেশে। দেশে গুম খুন রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের নির্যাতন বন্ধের দাবি করছি।

সিটিজেন মুভমেন্টে ইউকের আহ্বায়ক এম এ মালিক সেমিনার আয়োজনের জন্য সাইমন ডানজাক এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে এম এ মালিক বলেন, বাংলাদেশের এই সংকটে যুক্তরাজ্যকে পাশে দাড়াতে হবে। গণতন্ত্র ও মানুষের মুক্তির সংগ্রামে যুক্তরাজ্যকে আমরা আরো কার্যকর ভূমিকায় দেখতে চায়।

সিটিজেন মুভমেন্টে ইউকের পক্ষ থেকে বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র মানবাধিকার ও আইনের শাসন চরম হুমকির মুখে। সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। গুম, হত্যা, খুন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হরণ করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। বাংলাদেশের এই সংকটে যুক্তরাজ্যকে পাশে দাড়াতে হবে এবং প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রবাসে আমন্ত্রণ না জানাতে অনুরোধ করেন। গণতন্ত্র ও মানুষের মুক্তির সংগ্রামে যুক্তরাজ্যকে আরো কার্যকর ভূমিকায় দেখতে চায় সিটিজেন মুভমেন্টে জানান সিটিজেন মুভমেন্টের নেতৃবৃন্দ।

সিটিজেন মুভমেন্ট ইউকের আয়োজিত সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন-আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনজীবী ব্যারিস্টার টবি কেডম্যান, বাংলাদেশ সেন্টার ফর সোসিয়াল ডেভেলপমেন্ট ইউকের চেয়ারম্যান মাহিদুর রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইউরোপের মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা, কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. কে এম মালেক, ইউএনসির সদস্য ও জাস্ট নিউজ সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী, মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব মুফতি শাহ সদর উদ্দিন, ব্যারিস্টার হামিদুল হক লিটন আফিন্দি, ইঙ্গিনিয়ার রেজাউল করিম, কবির আহমেদ, বাদল ভূঁইয়া প্রমুখ ।

সেমিনারে আরো উপস্তিত ছিলেন- যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ, সিটিজেন মুভমেন্টের কামাল উদ্দিন, আবেদ রাজা, খসরুজ্জামান খসরু, রহিম উদ্দিন, মোশাহিদ হোসাইন, আব্দুল আহাদ, হাজী হাবিব, আমিনুর রহমান আকরাম, কে আর জসীম, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, হাবিবুর রাহমান, মতিন মোল্লা, জুনেদ আহমেদ, সলিসিটর ইকরামুল হক মজুমদার, সেলিম আহমেদ, মোশাহিদ আলী তালুকদার, খালেদ চৌধুরী, শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুস সালাম আজাদ, জাহাঙ্গীর মাসুক, শরিফ উদ্দিন ভূঁইয়া বাবু, এডভোকেট নুরউদ্দিন আহমেদ, আরিফ মাহফুজ, শামসুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, তোফায়েল আহমেদ মৃধা, অমর গনি, মানবাধিকার সংগঠক ফরিদুল ইসলাম, মনিরুল হক, মুহম্মদ সাইদ বাকী, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান খানসুর, ফয়সল আহমেদ, তরিকুল ইসলাম, শেখ তরিকুল ইসলাম, নাওশিন মুসতারি মিয়া সাহেব, জুনেদ আহমেদ, মিসবাহ বি এস চৌধুরী, আবুল হোসেন, এম এ সালাম, তাজবির চৌধুরী শিমুল, বশির আহমেদ, ডালিয়া বিনতে লাকুরিয়া, আফজাল হোসেন, নুরুল আলী রিপন, জিয়াউর রহমান দিপু, আকমল হোসাইন, হুমায়ূন কবির, শফিক রহমান, কামরুন্নাহার সাহানা, লুবা চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন আহাদ, শাহ রানা, মোস্তাক আহমেদ, শাহিন আহমেদ, আব্দুস সামাদ, সৈয়দ শামিম হোসাইন, আফজাল হোসেন, মোঃ শাজাহান, নুরুল আলী রিপন, ফজলে রহমান পিনাক, জামাল উদ্দিন রুবেল, মাহমুদুর রহমান, লাকি আহমেদ প্রমুখ।

http://www.dailysangram.com/post/274306