৩ মার্চ ২০১৭, শুক্রবার, ১১:২৩

৭ মাস পরে বাসায় ফিরেছেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী

সাত মাস পরে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি নেতা হুম্মাম কাদের চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে কে বা কারা তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে তিনি বাসায় যান। দীর্ঘ দিন তিনি কোথায় কী অবস্থায় ছিলেন তা জানা যায়নি। তার পরিবারের কেউ এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না।

গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর আদালতপাড়া থেকে তুলে নেয়া হয় মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে। একটি মামলায় তিনি এবং তার মা আদালতে গিয়েছিলেন হাজিরা দিতে। সেখানে গাড়ি থেকে নামার পরেই সাদা পোশাকধারীরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নেয়া হয়েছিল বলে ওই সময় অভিযোগ করেন হুম্মামের আইনজীবীরা। ওই সময় থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও পুলিশ সেটি গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। সে থেকেই নিখোঁজ ছিলেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী।

গতকাল ভোররাতে তিনি ধানমন্ডির বাসায় ফেরেন বলে জানা যায়। তার একজন নিকটাত্মীয় জানিয়েছেন, হুম্মামকে ধানমন্ডির একটি এলাকায় রাত সাড়ে ৩টায় ফেলে রেখে যাওয়া হয়। কে বা কারা ফেলে রেখে গেছে তা জানা যায়নি। এ সময় তার চোখ বাঁধা ছিল। পরিবারের সদস্যরা অবশ্য হুম্মামের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। বাসায় ফেরার পরে তিনি সকালেই গুলশানে তার এক আত্মীয়ের বাসায় চলে যান। বর্তমানে ওই আত্মীয়ের বাসায় আছেন বলে জানা যায়।

হুম্মাম কাদের চৌধুরীর মতোই নিখোঁজ রয়েছেন, সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমান আযমী এবং ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমান।

গত ২২ আগস্ট রাজধানীর মগবাজারের বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া হয় সেনাবাহিনীর সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে (৫৭)। তার মা আফিফা আযম অভিযোগ করেছেন, ২২ আগস্ট রাত অনুমান ৯টায় রমনা থানার বড় মগবাজারের ১১৯/২ কাজী অফিস লেনের বাসা থেকে ২০-৩০ জন লোক তার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকেই তিনি নিখোঁজ।

গত ৯ আগস্ট রাতে ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাসেম আরমানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। পরিবারের ভাষ্য, সাদা পোশাকধারীরা রাজধানীর মিরপুরের ডিওএইচএসের বাসা থেকে তাকে নিয়ে যায়। আরমানের পরিবার জানায়, ওই রাত সোয়া ৯টায় ছয়-সাতজনের সাদা পোশাকের একদল লোক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ব্যারিস্টার আরমানের মিরপুরের ডিওএইচএসের বাসায় যায়। এ সময় আরমান দরজা খুললে তাকে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় ওই অজ্ঞাত লোকজন। সে থেকেই নিখোঁজ আরমান।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/200320