বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাবেক মহিলা সদস্য, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের সাবেক পরিচালিকা সৈয়দা বদরুন্নেসা বেলি খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনিত কারণে ২৯ আগস্ট রাত ৮টার দিকে ৮৫ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্বামী, ৬ পুত্র ও ৫ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন।
শোকবাণী
সৈয়দা বদরুন্নেসা বেলির ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ৩০ আগস্ট এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, সৈয়দা বদরুন্নেসা বেলির ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিতা প্রাণ দাঈ বোনকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। আমি তাঁর ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, তাঁকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ক্ষমা ও রহম করুন এবং তাঁর কবরকে প্রশস্ত করুন। তাঁর গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
সৈয়দা বদরুন্নেসা বেলির জানাযা অনুষ্ঠিত
সৈয়দা বদরুন্নেসা বেলির জানাযা ৩০ আগস্ট বুধবার বাদ জোহর ঝিনাইদহ জেলার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযা শেষে তাঁকে ঝিনাইদহ কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, মরহুমার বড় ভাগ্নে ডাক্তার এ কে এম কামাল, মরহুমার ছেলে মো: মোজাহিদ, ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী, অঞ্চল টিম সদস্য জনাব আবদুল মতিন, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আলী আজম মোঃ আবু বকর প্রমুখ।
জানাযার নামাজে ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল।
প্রধান অতিথি জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, মরহুমা পর্যায়ক্রমে ৯টা জেলার দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আল্লাহর পথে একজন নিবেদিতা প্রাণ গুণী, পরহেযগার ও বড় মাপের একজন দাঈ ছিলেন। আজীবন তিনি ইক্বামতে দ্বীনের দায়িত্ব অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করে গিয়েছেন। তিনি অসংখ্য দায়িত্বশীলা তৈরি করে গেছেন। মহিলাঙ্গণে ইক্বামতে দীনের দাওয়াত সম্প্রসারণে তাঁর ভূমিকা প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। মহান রব তাঁর নেক কাজের ওছিলায় এবং তাঁর সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে উঁচু মাকাম দান করুন এবং তাঁর শোকাহত পরিবার-পরিজনদেরকে ছবরে জামিল দান করুন