১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, ৮:৪৭

মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুস সোবহানের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমীর ও ৫ বারের নির্বাচিত সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, সমাজসেবক, প্রবীণ জননেতা মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুস সোবহান ৯২ বছর বয়সে ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১:৩০টায় ব্রেইন স্ট্রোক করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে অন্তরীণ অবস্থায় ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ৫ পুত্র ও ৬ কন্যাসহ বহু নাতি-নাতনী, গুণগ্রাহী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক লাশ হস্তান্তরের পর সালাতে জানাজা ও দাফনের সময় জানা যাবে।

শোকবাণী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুস সোবহানের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রদত্ত এক শোকবাণীতে বলেন, “বাংলাদেশের গণমানুষের প্রিয় নেতা, ৫ বারের নির্বাচিত সাবেক এমপি, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন, সমাজসেবক, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুস সোবহানের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত।

ষড়যন্ত্রমূলক রাজনৈতিক মামলায়, দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা স্বাক্ষ্য দেওয়ায়ে তাকে মৃত্যুদ-ে দ-িত করা হয়। গত ৮ বছর যাবত তিনি কারাগারে বন্দী জীবন যাপন করছেন। ৯২ বছর বয়স্ক প্রবীণ আলেমে দ্বীন মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুস সোবহান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে অনন্য অবদান রেখেছেন। পাবনার উন্নয়নে তিনি যে ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন তা পাবনাবাসী গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে, ইনশাআল্লাহ। তিনি শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তার স্বপ্ন ছিল আধুনিক ও দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয়ে গড়ে উঠা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভবিষ্যত প্রজন্মকে দেশ ও জাতির নেতৃত্বের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলা। এ স্বপ্ন বুকে ধারণ করেই তিনি কারাগারে বন্দী জীবন যাপন করেছেন। তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত তিনি ব্যয় করেছেন এলাকবাসী ও দেশের উন্নয়নে। জীবনের শেষ মুহূর্তে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারা কর্তৃপক্ষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। হাসপাতালে তার যথাযথ পরিচর্যা ও চিকিৎসা না হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার আবেদন জানানো হয় তাকে পারিবারের তত্ত্বাবধানে সুচিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্য।

কিন্তু তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। আমরা মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুস সোবহানের যথাযথ সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানিয়েছিলাম। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, সারাজীবন যিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা পালন করলেন জীবনের শেষ মুহূর্তে তার সুচিকিৎসার কোন ভালো ব্যবস্থা করা হলো না। তার সাথে যে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে, তা নিতান্তই দুঃখজনক।

তিনি সরকারের অবহেলার শিকার হয়ে চিকিৎসা বঞ্চিত অবস্থায় মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন।
আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট বিনয়ের সাথে দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন তার সকল নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করেন।

আমি তার পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছি ও মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করছি তিনি যেন তাদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করেন।”