ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মোঃ জসিম উদ্দিনকে গত ১লা অক্টোবর রাতে পুুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার এবং ১লা অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর হাফেজ রবিউল বাশার, নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা কর্মপরিষদ অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল বারী ও বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এবং স্থানীয় জামায়াত নেতা জনাব ইয়াছিন আলীকে পুলিশের অন্যায়ভাবে আটক করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই পুলিশ তাদেরকে আটক করেছে।
১লা অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ ঢাকায় আসার পথে সাভারের নবিনগর বাসস্ট্যা- থেকে সন্ধ্যার দিকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাদেরকে তুলে নিয়ে যায় এবং বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা জনাব ইয়াছিন আলীকে আজ ২রা অক্টোবর ভোরে পুলিশ তার বাসা থেকে আটক করেছে। এখন পুলিশ সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের নেতাদের আটক করার কথা অস্বীকার করছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আটক করার পর আটকের কথা অস্বীকার করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি কুস্বভাবে পরিণত হয়েছে। জনগণ জানতে চায় সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের নেতাদেরকে কোথায় কী অবস্থায় রাখা হয়েছে? তাদের আটক করার কথা পুলিশের অস্বীকার করার কারণে তাদের আত্মীয়-স্বজন, পরিবার-পরিজন গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছেন। জামায়াত নেতৃবৃন্দকে আটক করার পরে পুলিশের আটক করার কথা অস্বীকার করা গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাদের আটক করার ব্যাপারে আমি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের আমরা সুস্পষ্ট বক্তব্য দাবি করছি।
পুলিশ অধ্যাপক মোঃ জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা প্রদান ও নাশকতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে যে মামলা দায়ের করেছে তা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন মিথ্যা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অসৎ উদ্দেশ্যেই জামায়াত নেতৃবৃন্দকে আটক করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার ও আটক করার মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, স্থানীয় জামায়াত নেতা ইয়াছিন আলী হৃদরোগের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুচিকিৎসার জন্য তাকে জরুরী ভিত্তিতে মুক্তি দেয়া প্রয়োজন।
গ্রেফতার ও নির্যাতন বন্ধ করে ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মোঃ জসিম উদ্দিন, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর হাফেজ রবিউল বাশার ও নায়েবে আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ সারা দেশে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”