কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক রমজান আলীকে গত ৪ অক্টোবর ভোরে এবং হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা জনাব আশরাফ আলীসহ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ১৫ জন নেতা-কর্মীকে গত ৩ অক্টোবর ডিবি পুলিশের অন্যায়ভাবে আটক করা এবং নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা নূরুল আবসারকে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য সরকার যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তারই অংশ হিসেবে জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে।
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীগণ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছে। সরকার একদিকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। অন্যদিকে জামায়াতের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত রোববার ৪ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যে ‘গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী খুন-খারাবী করছে।’ মর্মে যে মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আমি বলতে চাই যে, খুন-খারাবীর সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোন সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই সারাদেশে খুন-খারাবী করছে। তাদের অপকর্ম ঢাকা দেয়ার হীন উদ্দেশ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জামায়াতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। জামায়াতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার চালিয়ে জনগণকে ধোকা দেয়া যাবে না।
রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার অসৎ উদ্দেশ্যেই পুলিশ অন্যায়ভাবে কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক রমজান আলী ও হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব আশরাফ আলীসহ ১৫ জন নেতা-কর্মীকে এবং নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা নূরুল আবসারকে গ্রেফতার করেছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”