১৮ অক্টোবর ২০১৫, রবিবার, ৩:৫০

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী

দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার ১ম পৃষ্ঠায় ‘কিলিং মিশন বাস্তবায়নে ছিল বিএনপি নেতা সোহেল’ শিরোনামে আজ ১৮ অক্টোবর প্রকাশিত রিপোর্টে ‘জামায়াতের মদদে দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে’ মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার হীন উদ্দেশ্যেই এ ভিত্তিহীন মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।
জনকণ্ঠের এ রিপোর্ট সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাই দুই জন বিদেশী হত্যাকাণ্ডে জামায়াতের মদদ দেয়ার এবং হাইকমাণ্ডের সরাসরি জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। জামায়াতের মধ্যে কোন শূটার নেই এবং দুই বিদেশী হত্যার ব্যাপারে হাইকমাণ্ডের নির্দেশ দেয়ার প্রশ্ন সম্পূর্ণ অবান্তর।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়ে আশা করছি যে, তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”

ইসলামী ঐক্যজোটের (মিছবাহুর রহমান চৌধুরী)
ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিবাদ

ঢাকা বিভাগীয় সম্মেলনে গত ১৭ অক্টোবর ইসলামী ঐক্যজোটের নেতারা “জামায়াতই দেশী জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে। প্রকৌশলী খিজির হত্যা, মাওলানা ফারুকী হত্যা এবং বিদেশী হত্যার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জামায়াত জড়িত” মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, “তাদের এ বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই।
তাদের বক্তব্য সম্পর্কে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো হরকাতুল জিহাদ, আনসার উল্লাহ বাংলা টীম, জেএমবিসহ কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক নেই। জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করার হীন উদ্দেশ্যেই ঐসব সংগঠনের সাথে জামায়াতের সম্পর্ক আবিষ্কারের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। জামায়াতের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি ইসলামী ঐক্যজোটের (মিছবাহুর রহমান চৌধুরী) নেতাদের প্রতি আহŸান জানাচ্ছি।”