গত ২২ জানুয়ারী জাতীয় সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের উপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে যে ভিত্তিহীন অসত্য বক্তব্য প্রদান করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২৩ জানুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভিত্তিহীন অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন আমি তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার ঘটনার সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কারো কোন সম্পর্ক থাকার কোন প্রশ্নই ওঠে না। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীনউদ্দেশ্যেই তিনি এ অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন।
এ ধরনের চাঞ্চল্যকর একটি হত্যাকা-ে তদন্ত চলাকালীন সময়ে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য সুষ্ঠু তদন্তের পথে বিরাট হুমকি। তার এ বক্তব্যের পর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া আদৌ কী সম্ভব? অতীতেও এ ধরনের বিভিন্ন ঘটনা ঘটার পরপর সরকার ও আওয়ামী লীগের উপর পর্যায়ের লোকেরা জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য অনেকবারই দিয়েছেন। কিন্তু একটি ঘটনাও সত্য বলে প্রমাণিত হয়নি।
এ ধরনের বক্তব্য দেয়ার ফলে প্রকৃত খুনিরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আড়ালে থেকে যায়। সুতরাং সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হলে এ ধরনের অন্যায্য, অনাকাক্সিক্ষত এবং বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যথায় খুনিরাই উৎসাহিত হবে এবং বিচার প্রার্থীরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত থেকে যাবে।”