১১ নভেম্বর ২০১৭, শনিবার, ১০:২৬

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ১৩ নভেম্বর সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে নিম্নবিত্ত সাধারণ জনগণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে

চাল, ডাল, আটা, তেল, তরি-তরকারী, মাছ, গোশ্ত, পিঁয়াজ, রসূনসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবীতে আগামী ১৩ নভেম্বর সোমবার সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১১ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “চাল, ডাল, আটা, তেল, তরি-তরকারী, মাছ, গোস্ত, পিঁয়াজ, রসূনসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে সীমিত আয়ের নিম্নবিত্ত সাধারণ জনগণ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। জনজীবনে চরম অস্বস্তি বিরাজ করছে।

বর্তমানে বাজারে চাল, ডাল, আটা, তেল, তরি-তরকারী, মাছ, গোস্ত, পিঁয়াজ, রসূনসহ সব জিনিসের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। সীমিত আয়ের একজন চাকুরীজীবী বর্তমানে প্রতিমাসে যে বেতন পান তাতে তাদের ১৫/২০ দিনের বেশী চলে না। বাকী দিনগুলো বাকীতে দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করে কিংবা ধার করে সংসার চালাতে হয়।

বর্তমানে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, ভারতীয় চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, দেশী বিআর ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, সরু চাল ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। আটা প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৪ টাকা, মসুর ডাল প্রতি কেজি ১২৫ টাকা, মুগডাল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, মাষকলাই প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা, ছোলার ডাল প্রতি কেজি ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। রুই মাছ প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতলা প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। মুরগী প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১৭০ টাকা, গরুর গোশ্ত প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা, খাসির গোশ্ত প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। টমেটো প্রতি কেজি ১২০ টাকা, সিম ১৫০ টাকা, করলা, পটল, বরবটি ইত্যাদি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। মোটের উপর বাজারে প্রতি কেজি ৬০ টাকার নীচে কোন তরকারী পাওয়া যায় না। পিঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।

দ্রব্যমূল্যের তীব্র কষাঘাতে মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। সেদিকে সরকারের কোন দৃষ্টি নেই। সরকার নিজের গদি রক্ষায় ব্যস্ত রয়েছে। সরকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধ করার জন্য কার্যকর কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করছে না। বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত নয়। সেই কারণেই তারা জনগণের সুখ-দুঃখের কথা ভাবে না। তারা ভোটার বিহীন নির্বাচনের প্রহসন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নানা ফন্দি ফিকিরে ব্যস্ত রয়েছে।

চাল, ডাল, আটা, তেল, তরি-তরকারী, মাছ, গোশ্তসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ও দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবীতে আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আগামী ১৩ নভেম্বর সোমবার সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচী ঘোষণা করছি এবং ঘোষিত এ কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য সংগঠনের সকল শাখার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ও দল-মত-নির্বিশেষে দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।”