৭ অক্টোবর ২০১৭, শনিবার, ৯:০৯

দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলতে কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই

পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মাওলানা সাঈদুর রহমানকে হত্যা করে এখন মামলার বাদীর বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে

সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বাকসা হঠাৎগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা সাঈদুর রহমানকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশদের বিরুদ্ধে মামলা করার কারণে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বিতীয়বার গত ৫ অক্টোবর মামলার বাদী, নিহত মাওলানা সাঈদুর রহমানের বড় ভাই জনাব বজলুর রহমান ও তার বেয়াই জনাব আবদুল হান্নানের বাড়ীতে বেপরোয়া হামলা এবং ভাংচুর করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ০৭ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বাকসা হঠাৎগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার সুপার স্থানীয় জামায়াত নেতা মাওলানা সাঈদুর রহমানের হত্যা মামলার আসামী, পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের স্থানীয় সন্ত্রাসীরা মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই জনাব বজলুর রহমান ও তার বেয়াই জনাব আবদুল হান্নানের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে।

জনাব আবদুল হান্নানের পুত্র আল মামুন ও অন্য দুই যুবক সিদ্দিকুর রহমান এবং মাওলা বক্সকে গ্রেফতার করে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের জেলে পাঠিয়েছে। মামলা তুলে না নিলে পুলিশ বজলুর রহমান ও তার আত্মীয়, পরিবার-পরিজন সবাইকে হত্যা করে এক কবরে পুঁতে রাখার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই। এ ঘটনার দ্বারা আবারো প্রমাণিত হলো যে, দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার বলতে কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।

মাওলানা সাঈদুর রহমানকে হত্যা করার ঘটনার মামলার আসামী পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গত ৫ অক্টোবর ভোর রাত সাড়ে তিনটায় মামলার বাদী জনাব বজলুর রহমান এবং তার বেয়াই আবদুল হান্নানের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। তারা জনাব আবদুল হান্নানের স্ত্রীকেও মারধর করেছে এবং তার পুত্র আল মামুনকে গ্রেফতার করে তাকে এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে মুক্তি দেয়ার কথা বলে। কিন্তু এক লক্ষ টাকা না দেয়ায় পুলিশ আল মামুন ও অপর দুই যুবক সিদ্দিকুর রহমান এবং মাওলা বক্সকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের জেলে পাঠিয়েছে।

মামলা তুলে না নিলে পুলিশ মামলার বাদী বজলুর রহমান ও তার আত্মীয়-পরিবার-পরিজন সবাইকে হত্যা করে এক কবরে পুঁতে রাখার হুমকি দেয়। উল্লেখ্য যে, গত ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত তিনটায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মামলার বাদী জনাব বজলুর রহমানের বাড়ীতে প্রথমবার হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছিল। কোন সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে কি এ ধরনের কর্মকা- আদৌ কল্পনা করা যায়? পুলিশই যদি বেআইনীভাবে এ ধরনের সন্ত্রাসী তান্ডব চালায় তাহলে মানুষ কার কাছে নিরাপত্তা চাইবে এবং কিভাবে এ দেশে বসবাস করবে?

মাওলানা সাঈদুর রহমানের হত্যাকা-ের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান এবং মামলার বাদী জনাব বজলুর রহমান ও তার আত্মীয় পরিবার-পরিজনদের যথোপযুক্ত নিরাপত্তা বিধান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”