২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, শুক্রবার, ৮:১২

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে নাইট গার্ডকে প্রহারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

কর্তৃত্ববাদী সরকার সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ করে রেখেছে

গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় রমনা থানার প্রায় ৩০/৩৫ জন পুলিশ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মগবাজারস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে অফিসে পাহারারত নাইট গার্ড মোঃ ইব্রাহিমকে বেদম প্রহার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২২ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় রমনা থানার প্রায় ৩০/৩৫ জন পুলিশ জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে অফিসে পাহারারত নাইট গার্ড মোঃ ইব্রাহিমকে বেদম প্রহার করার ঘটনা বেআইনী ও অমানবিক।

দেশবাসী সকলেই জানেন যে, ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী সরকার সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ করে রেখেছে। জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতা-কর্মীকেই সরকার অফিসে ঢুকতে দিচ্ছে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের একটি বৈধ ও আইনানুগ রাজনৈতিক দল। দেশের একটি বৈধ ও আইনানুগ রাজনৈতিক দলের অফিস সরকার এভাবে বন্ধ করে রাখতে পারে না। জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয় বন্ধ করে রেখে সরকার দেশের আইন ও সংবিধান অমান্য করছে। গণতন্ত্র ও আইনের প্রতি সামান্যতম শ্রদ্ধা থাকলে সরকার এ ধরনের বেআইনী কাজ করতে পারতো না।

শুধুমাত্র নাইটগার্ড ও দারোয়ানরা জামায়াতের কেন্দ্রীয় অফিস পাহারা দিচ্ছে। বন্ধ কার্যালয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে প্রায় ৩০/৩৫ জন পুলিশ এসে অফিসের গেট খুলতে বললে কর্তব্যরত নাইটগার্ড মোঃ ইব্রাহিম গেট খুলে দেয়। গেট খুলে দিলে তারা অফিসে ঢুকে পড়ে এবং নাইটগার্ড ইব্রাহিমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ও তাকে বেদম প্রহার করে আহত করেছে। পুলিশের এহেন আচরণের নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই।

ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা আর না ঘটে সে জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবিলম্বে খুলে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”