মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রায় একশত রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হওয়ার নির্মম ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ২৬ আগষ্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রায় একশত রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও উদ্বেগজনক।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা, ধর্ষণ এবং তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনার পর জাতিসংঘসহ সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষ তার প্রতিবাদ করলেও মায়ানমার সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। বাংলাদেশ সরকারের বাধা প্রদান সত্ত্বেও এখনো বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানরা প্রবেশ করছে এবং প্রায় ৪ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে উদ্বাস্তু অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে তাদের পুনর্বাসনের জন্য জাতিসংঘ এবং ওআইসি মায়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু মায়ানমার সরকার তা উপেক্ষা করে আবারও গণহত্যা শুরু করেছে। গত ৫০ বছরে মায়ানমার সরকার সে দেশ থেকে প্রায় ১২ লক্ষ মুসলমানকে বিতাড়িত করেছে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার উদ্দেশ্যে আগত রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মায়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা গুলি বর্ষণ করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকারও তাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দিচ্ছে না। এতে দিশেহারা হয়ে শত শত রোহিঙ্গা মুসলমান নাফ নদীতে ঝাপ দিয়ে নদীর পানিতে ভাসছে। এ অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক ও মানবতাবিরোধী। আমি এ ঘটনার নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
মায়ানমারে গণহত্যা বন্ধের ব্যাপারে সে দেশের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই এগিয়ে আসতে হবে।
তাই মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সে দেশের সরকারের পরিচালিত গণহত্যা বন্ধ করে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আমি জাতিসংঘ, ওআইসি এবং সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও শান্তিকামী বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”