ঢাকা মেটোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রানসেশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম গত ২৯ জুলাই ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদপত্রের রিপোর্টারগণের নিকট প্রদত্ত বক্তব্যে “জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রশাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কর্মীরা নিউ জেএমবিতে সক্রিয়। সাবেক শিবিরের লোক এখন নিউ জেএমবির জেলার নেতৃত্বে আছে” মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ আজ ৩০ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম গত ২৯ জুলাই ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদপত্রের রিপোর্টারগণের নিকট প্রদত্ত বক্তব্যে নিউ জেএমবির সাথে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন তা সর্বৈব মিথ্যা।
পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ইসলামী ছাত্রশিবিরের কারো নাম উল্লেখ না করে ‘ছাত্রশিবিরের কর্মীরা নিউ জেএমবিতে সক্রিয় ও ছাত্রশিবিরের সাবেক লোক এখন নিউ জেএমবির জেলার নেতৃত্বে আছে’ মর্মে যে কথা বলেছেন তার কোন ভিত্তি নেই। ছাত্রশিবিরের কারো নাম উল্লেখ না করা থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে, তার বক্তব্যের কোন সত্যতা নেই। তার বক্তব্য যদি আদৌ সত্য হয়ে থাকে তাহলে তিনি কোন্ ছাত্রশিবির কর্মী নিউ জেএমবিতে সক্রিয় ও কোন জেলায় নিউ জেএমবির নেতৃত্বে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোন লোক আছে তার নাম উল্লেখ করুন। আমি আশা করি তিনি কারো নাম উল্লেখ করতে পারবেন না। তিনি ইতোপূর্বেও বহুবার এ ধরনের অসত্য বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত তার বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করতে পারেননি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত শরিফুল ইসলাম খালেদের সাথে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসেনা। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই এই মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে।
আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী শিবির নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে আমরা ঘৃণা করি। নিউ জেএমবি বা অন্য কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসেনা।
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারীতে দুঃখজনক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত নিহত সন্ত্রাসীদের পরিচয় পুলিশ কর্মকর্তাগণই জাতিকে জানিয়েছেন। ঐ ঘটনার পর সিরিয়ার রাক্কা থেকে ঐ ঘটনা সম্পর্কে দু’জন বাংলাদেশীর যে ভিডিও বক্তব্য আইএস প্রচার করেছিল তার একজন আওয়ামীপন্থী তথাকথিত জনতার মঞ্চের নায়ক, সাবেক সচিব শফিউর রহমান চৌধুরীর পুত্র। তাছাড়াও নাটোর, পাবনার ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়াসহ সারা দেশে উগ্র-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত আওয়ামী লীগ নেতাদের পরিবারের সদস্যরাই দফায় দফায় হাতে নাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। বাংলাদেশে সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে দায়ী না করে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দায়ী করা চরম অন্যায়।
কাজেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর অসত্য বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”