১৩ জুলাই ২০১৬, বুধবার, ৩:২১

আইএস ও মোসাদের সাথে জামায়াতের সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসে না

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক গত ১২ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সমাবেশে “জামায়াতের বয়স্ক নেতা-কর্মীরা তাদের সন্তানদের ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গি গোষ্ঠীর ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে” এবং খাদ্যমন্ত্রী এড. কামরুল ইসলাম জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত অপর এক সমাবেশে “বিএনপি-জামায়াতের সাথে আইএস ও মোসাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে” মর্মে যে, ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আজাদ আজ ১৩ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক ও খাদ্যমন্ত্রী এড. কামরুল ইসলাম জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করেছেন তার মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই।

দেশবাসী সকলেই জানেন যে, জেএমবির নিহত সাবেক নেতা শায়খ আবদুর রহমান আওয়ামী লীগ নেতা মির্যা গোলাম আযমের ভগ্নিপতি এবং গুলশানে রেস্টুরেণ্টে যে ৫ জন জঙ্গি হামলা চালিয়েছে তাদের মধ্যে একজন হলো আওয়ামী লীগের নেতা ইমতিয়াজ খান বাবুলের পুত্র রোহান ইবনে ইমতিয়াজ। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আওয়ামী লীগের নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের চাচাতো ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লীগের নেতা মুনতাসিরুল ইসলাম অনিন্দ্যর সাথে জঙ্গি কানেকশনের কথা গত ১২ ও আজ ১৩ জুলাই জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের পরিবারের সদস্যদের জঙ্গি কানেকশনের খবর থেকে দেশবাসীর দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরানোর উদ্দেশ্যেই মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক ও খাদ্যমন্ত্রী এড. কামরুল ইসলাম জামায়াতকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এভাবে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।

তাদের বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, কোন জঙ্গি কর্মকান্ডের সাথে যেমন জামায়াতের কোন সম্পর্ক নেই, তেমনি আইএস ও মোসাদের সাথে জামায়াতের সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসে না।

এ ধরনের ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”