২৫ জুলাই ২০১৬, সোমবার, ১১:৫৯

আওয়ামী লীগ নিজেদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা ঢাকা দেয়ার জন্যই জামায়াতের ওপর মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে দিচ্ছে

গত ২৪ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে খাদ্যমন্ত্রী এড: কামরুল ইসলাম ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং গত ২৪ জুলাই বিকেলে আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেছেন তার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ২৫ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “খাদ্যমন্ত্রী এড: কামরুল ইসলাম ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ জামায়াত সর্ম্পকে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই।

খাদ্যমন্ত্রী এড: কামরুল ইসলামের বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, দেশে যে সব জঙ্গী ধরা পড়েছে তাদের কেউই জামায়াত করত না। বরং ধরা পড়া জঙ্গীদের অনেকেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ করত। ধরা পড়া আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের জঙ্গীদের বাঁচানোর জন্যই খাদ্যমন্ত্রী ‘ধরা পড়া জঙ্গীরা জামায়াত করত’ বলে মন্তব্য করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার সাথে জামায়াতের দূরতম কোন সম্পর্কও নেই। দেশবাসী সকলেই জানেন যে, গুলশানে সন্ত্রাসী হামলাকারী ৫ জঙ্গীর মধ্যে একজন আওয়ামী লীগের নেতা ইমতিয়াজ খান বাবুলের পুত্র রোহান ইবনে ইমতিয়াজ। রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা খায়রুজ্জামান লিটনের চাচাতো ভাই, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মুনতাসিরুল ইসলাম অনিন্দ্য জঙ্গি কর্মকান্ডের সাথে জড়িত যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এসেছে। নিজেদের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা ঢাকা দেয়ার জন্যই জামায়াতের ওপর মিথ্যা অভিযোগ চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে খুন, গুম, অপহরণসহ যাবতীয় অন্যায় কর্মকান্ড অহরহ ঘটছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা সারাদেশে মারামারি ও সন্ত্রাস করে নিজেরা যেমন আহত এবং নিহত হচ্ছে, তদ্রুপ সাধারণ মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে। তাছাড়া ছাত্রলীগ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করছে। আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, তাদের এগুলো কী সন্ত্রাস নয়?

আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ জামায়াতের ঘোষিত আগামীকাল ২৬ জুলাইয়ের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচী প্রতিহত করা ও মাঠে নামতে না দেয়ার ঘোষণা দিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনী বক্তব্য দিয়ে দেশের আইন এবং সংবিধান লংঘন করেছেন। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তাদের একদলীয় ফাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশ করেছেন। আমি তার এ বেআইনী বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ধরনের উত্তেজনাকর ও উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি সন্ত্রাস এবং জঙ্গীবাদকেই উস্কে দিয়েছেন।

এ ধরনের ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি খাদ্য মন্ত্রী এড: কামরুল ইসলাম, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”