২৬ জুলাই ২০১৬, মঙ্গলবার, ১১:৫৮

প্রধানমন্ত্রীর কাল্পনিক অমূলক বক্তব্য সম্পূর্ণ হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

দি ডেইলী স্টার পত্রিকায় দু’টি সূত্র থেকে প্রাপ্ত গত ২৫ জুলাই প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের বরাত দিয়ে “জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে মুক্ত করার জন্য আগামী মাসে কিছু নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে” মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ২৬ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধরনের বিভ্রান্তিকর কোন বক্তব্য দিতে পারেন বলে আমরা মনে করি না। অথচ ডেইলী স্টারের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। দি ডেইলী স্টার পত্রিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের বরাত দিয়ে প্রকাশিত বক্তব্য যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তা অত্যন্ত দু:খজনক। আমরা তার এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

জনাব মীর কাসেম আলীকে আইনী প্রক্রিয়ায় মুক্ত করার জন্য আমরা আইনী প্রক্রিয়ায়ই অগ্রসর হচ্ছি। কোন সন্ত্রাসী হামলার কথা জামায়াত কখনো কল্পনা করে না। অথচ প্রধানমন্ত্রী অনুমান নির্ভর আগাম বক্তব্য প্রদান করে অহেতুক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।

আমরা ইতোপূর্বেও বলেছি এবং এখনও বলছি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী একটি সংগঠন। সব ধরনের সন্ত্রাসী ও হিংসাত্মক কর্মকান্ড জামায়াত ঘৃণা করে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর কাল্পনিক অমূলক বক্তব্য সম্পূর্ণ হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাতে পারেন না। তার এ বক্তব্য অনৈতিক, অযৌক্তিক ও অনভিপ্রেত।

গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পর উৎকণ্ঠিত এবং উদ্বিগ্ন দেশবাসী আশা করেছিল যে, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ঐক্যের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কিন্তু তা না করে তিনি জাতীয় ঐক্য বিরোধী বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেয়ায় দেশবাসী বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছে।

এ ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী কাল্পনিক আগাম বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”