চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের (গুলিসা) রাড়িগো ফুলের কাছের খাঁন বাড়িতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের নিয়মিত কোরআন তালিম চলাকালে যুবদলের কর্মীদের হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর (রবিবার) বিকেলে ঐ বাড়িতে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিয়মিত সাপ্তাহিক ও মাসিক কোরআন তালিম ও প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়ে আসছে। ওই দিন তালিম চলাকালে স্থানীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আছলাম এর নেতৃত্বে একদল যুবক বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করে। পর্দানশীল মা-বোনেরা তাদের বাধা দিলে, তারা অশালীন ভাষায় গালাগালি শুরু করে এবং উপস্থিত মহিলাদের ভিডিও ধারণের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তারা দরজায় ধাক্কাধাক্কি ও লাথি মেরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।পরবর্তীতে মহিলাদের প্রতিবাদের মুখে তারা স্থান ত্যাগ করে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারী অধ্যক্ষ নূরুন্নিসা সিদ্দীকা এক বিবৃতিতে বলেন—
“জুলাই বিপ্লব ২৪-পরবর্তী স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে এই নব্য স্বৈরাচারী ও সন্ত্রাসী হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। পর্দানশীল মা-বোনদের কোরআন তালিমে হামলা করা এক ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কাজ।”
তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন—
“যুবদলের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি আরোও বলেন— নারী সমাজের ধর্মীয় শিক্ষা ও কোরআনের আলোচনায় হামলা করে কেউ ইসলামী দাওয়াতি কার্যক্রমকে বন্ধ করতে পারবে না। এই হামলা প্রমাণ করে, নৈতিক ও আদর্শিকভাবে পরাজিত একটি গোষ্ঠী সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইছে।
আমরা এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি এবং আহত ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মা-বোনদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।