দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদন। জামায়াত-শিবিরই এখন জেএমবি” শিরোনামে আজ ২১ আগষ্ট প্রকাশিত ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম আজ ২১ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাগণের বক্তব্যের বরাত দিয়ে ‘নিউ জেএমবি এবং আনসার উল্লাহ বাংলা টীমই এখন জামায়াত-শিবিরের নতুন নাম’ মর্মে যে সব কথা লেখা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা।
দৈনিক ইনকিলাবের রিপোর্টের জবাবে আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়তান্ত্রিক গণতান্ত্রিক ধারার স্বচ্ছ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে জামায়াত ও ছাত্রশিবির সব সময়ই ঘৃণা করে। কাজেই নিষিদ্ধ ঘোষিত নিউ জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, আনসার উল্লাহ বাংলা টীম, শহীদ হামজা ব্রিগেটসহ কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসে না। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেউই জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেফতার হয়নি। জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেউই নেই। নাশকতা ও মানুষ খুনের সাথে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক নেই।
দৈনিক ইনকিলাবের রিপোর্টে ‘জামায়াতের ৫০ লক্ষ টাকা ৫ আত্মঘাতি জঙ্গিকে এবং আরো ৫০ লক্ষ টাকা জঙ্গি সংগঠনকে দেয়ার কথা ছিল’ মর্মে যে কথা লেখা হয়েছে তা একেবারে ডাহা মিথ্যা। কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে জামায়াতের কোন সম্পর্ক নেই। কাজেই তাদের জামায়াতের টাকা দেয়ার প্রশ্ন অবান্তর।
দৈনিক ইনকিলাবের গোটা রিপোর্টটিই কাল্পনিক। বাস্তবের সাথে এ রিপোর্টের কোন সম্পর্ক নেই। জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার হীন উদ্দেশ্যেই এ মিথ্যা রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ধরনের বানোয়াট রিপোর্ট প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়ে আশা করছি যে, তারা অত্র প্রতিবাদটি যথাস্থানে ছেপে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন করবেন।”