বাংলাদেশের বিমানবন্দরে কুটনৈতিক সম্পর্ক বহির্ভূত ইসরাইলী দুটো বিমানের অবতরনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ও তার রহস্য উন্মোচনের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করে বলেন,
"বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ১০৮ গ্রস মেট্রিক টন কার্গো বহন করতে সক্ষম দুটি বোয়িং ৭৪৭-৪০০ বিসিএফ বিমান ইসরায়েলের তেল আবিবের বেনগুরিয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ন্যাশনাল এয়ার কার্গো ইনকর্পোরেটেড ইউএসএ দ্বারা নিবন্ধিত ও পরিচালিত পণ্যসম্ভার বিমানটি (ফ্লাইট নম্বর N8806) ৭ এপ্রিল তেলআবিব থেকে ঢাকায় অবতরণ করে এবং একই দিনে ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়। ফ্লাইট নম্বর N8848 (NCR848) এর অধীনে একই কোম্পানির দ্বারা পরিচালিত দ্বিতীয় ফ্লাইটটি ১১ এপ্রিল সরাসরি তেলআবিব থেকে ঢাকায় আসে এবং ১২ এপ্রিল ঢাকা ছেড়ে যায়।
বহুল প্রচারিত মানব জমিনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দুটি ফ্লাইটই সরাসরি তেলআবিব থেকে ঢাকায় এসেছিল।
গাজায় গণহত্যাকারী মানবতার দুশমন ইসরাইলের দুটো কার্গো বিমান কোন কারনে কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে অবতরণ করলো এবং অবতরনের পর তারা কি কাজে সময় ব্যয় করেছে তা বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়।
ইসরায়েল থেকে বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইটের কোনো নজির নেই। জরুরী অবতরণ ছাড়া বাংলাদেশে পণ্য বহনকারী ইসরায়েল ফ্লাইটের অবতরণ একটি নজিরবিহীন ঘটনা। কারণ বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়নি। যে রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই সেই রাষ্ট্রের বিমানের অবতরণ রহস্যজনক ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকী স্বরূপ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গাজায় গণহত্যাকারী মানবতার দুশমন ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংগনে বক্তব্য রেখে আসছেন। ৭ এপ্রিল ইসরাইলের বিমান অবতরনের পর ৬ দিন ও আরো একটি বিমান অবতরনের পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে অথচ সরকার জাতির সামনে ঘটনার রহস্য এখনো উন্মোচন করেনি। সরকারের এ নীরবতা আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করেছে।
আমরা অবিলম্বে ইসরাইলী বিমান অবতরনের বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিকে উদ্বেগ থেকে মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।"