৬ মার্চ ২০২৪, বুধবার, ৯:০৭

জাতীয় সংসদে ‘দ্রুত বিচার আইন ২০২৪’ নামক একটি কালাকানুনকে স্থায়ী আইনে পরিণত করার বিল পাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে গত ৫ মার্চ ‘দ্রুত বিচার আইন ২০২৪’ নামক একটি কালাকানুনকে স্থায়ী আইনে পরিণত করার জন্য তড়িঘড়ি করে মাত্র ২৪ মিনিটে বিল পাশ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ৬ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী সরকার বিরোধী দলগুলোর উপর জুলুম-নির্যাতন চালানোর হীন উদ্দেশ্যে তড়িঘড়ি করে মাত্র ২৪ মিনিটে ‘দ্রুত বিচার আইন’ নামক এ আইনটিকে স্থায়ীভাবে আইনে পরিণত করেছে।

‘দ্রুত বিচার আইন ২০২৪’ নামক কালাকানুনটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গত ৪ মার্চ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছিল। তিনজন সংসদ সদস্য এ আইনের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও সরকারি দল ব্রুট মেজরিটির জোরে সকলের মতামত অগ্রাহ্য করে মাত্র ২৪ মিনিটে আইনটি পাশ করে একটি কুনজির স্থাপন করল। এ আইনের কোনো ধারা লঙ্ঘন করলে সরকার তাকে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থ দণ্ডে-দণ্ডিত করতে পারবে।

বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। দেশের শতকরা ৮৭% ভাগ জনগণ ৭ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডারদের ব্যবহার করে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে জনগণের উপর অব্যাহতভাবে জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার দেশের জনগণের উপর একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে সরকার দেশের দরিদ্র জনগণের রক্ত চুষে নিচ্ছে। এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে যাতে কেউই প্রতিবাদ করতে না পারে, সেই জন্যই সরকার ‘দ্রæত বিচার আইন’ নামক কালো আইনটি পাশ করেছে। জনগণের আন্দোলন দমনের অস্ত্র হিসেবে সরকার এ আইনটি ব্যবহার করবে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সরকার জেন্ডার পরিবর্তনের জন্য ‘ট্রান্সজেন্ডার’ নামক একটি জঘণ্য মানবতাবিরোধী আইন প্রণয়নের চিন্তা-ভাবনা করছে। শতকরা ৯২% ভাগ মুসলমানদের দেশে ঐ জঘণ্য আইন চালু করে সরকার দেশকে সমকামীদের আঁখড়ায় পরিণত করতে চায়। ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের মাধ্যমে সরকার দেশ থেকে ইসলামী আদর্শকে বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্র করছে। ঐ ধরনের কোনো ইসলাম ও মানবতা বিরোধী জঘণ্য আইন পাশ করা হলে ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা কোনো অবস্থাতেই তা মেনে নিবে না।

অনতিবিলম্বে ‘দ্রুত বিচার আইন’ বাতিল ও ‘ট্রান্সজেন্ডার’ নামক আইন প্রণয়ন করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে এই জঘণ্য আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশের সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও আলেম সমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”