বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য কারাবন্দী জনাব মীর কাসেম আলীকে হত্যার সরকারী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এবং তিনিসহ জামায়াতের আটক সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে আজ ৩১ আগস্ট জামায়াতের আহুত শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচিতে বাধাদান এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান আজ ৩১ আগস্ট প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল আহ্বান ও পালন করা জনগণের গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার। আজকে জামায়াতের আহুত শান্তিপূর্ণ হরতাল বানচালের অপচেষ্টা চালিয়ে এবং নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকারে বাধা দিয়ে সরকার দেশের আইন ও সংবিধান লংঘন করেছে।
গত ৩০ আগস্ট দিবাগত রাতে সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী জনাব ফয়জুর রহমানকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। ৩১ আগস্ট শান্তিপূর্ণ হরতাল চলাকালে পুলিশ অন্যায়ভাবে নাটোর জেলার বরই গ্রামে জামায়াতের ৩ জন নেতা-কর্মীকে, রংপুরে ৬ জনকে, ময়মনসিংহে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২ জন কর্মীকে ও কুমিল্লায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৫ জন কর্মীসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে।
সরকারের রক্তচক্ষু, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গ্রেফতার উপেক্ষা করে জনগণ সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করেছে। শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করায় আমি দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণ হরতার কর্মসূচিতে বাধা প্রদান ও দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে সরকারের একদলীয় ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। জনগণের ওপর স্বৈরশাসন চাপিয়ে দিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে অতীতে যেমন কোন সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, তেমনি বর্তমান সরকারও বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। সময় এসেছে সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার।
সিলেট, নাটোর, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”