সরকারের দমন-পীড়ন এবং গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং আগামী রবিবার মানববন্ধনের কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৭ ডিসেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দেশবাসীর মতামত অগ্রাহ্য করে এবং বিরোধীদলকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনের পথ সুগম করেছে। এর মাধ্যমে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পথে আর কোনো বাধা রইল না। তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশনের ষড়যন্ত্রমূলক তফসিলের অধীনে দেশের সকল মেইনস্ট্রিম বিরোধীদল নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গণধিকৃত তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে বিরোধীদলগুলো আন্দোলন করছে। জামায়াতের নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলাটি খারিজ করে দিয়ে এবং দেশবাসীর সকল দাবি-দাওয়া অগ্রাহ্য করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। কিন্তু দেশবাসী অগণতান্ত্রিক উপায়ে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মনোবাসনা পূরণ হতে দিবে না।
তিনি আরও বলেন, আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে শুনানি না করেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের দ্রুত সাজা দেয়া হচ্ছে। সরকার সারাদেশে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে। বিনা কারণে জামায়াতসহ বিরোধীদলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মিথ্যা ও সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। জামিনযোগ্য হলেও সরকারের চাপে জামিন দেয়া হচ্ছে না। গণগ্রেফতার করে জেলখানা ভরিয়ে ফেলা হয়েছে। সরকারের প্রশ্রয়ে পুলিশ প্রশাসন কোটি কোটি টাকার গ্রেফতার বাণিজ্য চালাচ্ছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতন ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। সিলেট মহানগরীর কোতওয়ালি থানার সেক্রেটারি পারভেজ আহমাদসহ গত ২৪ ঘণ্টায় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৫ জন নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি এইসব জুলুম-নির্যাতন এবং বেআইনি গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেফতারকৃতদের দ্রুত মুক্তি দাবি করছি। পাশাপাশি আগামী রবিবার মানববন্ধনের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করে আন্দোলনকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং সংগ্রামী দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।”