ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন কর্তৃক লিখিত দৈনিক কালের কণ্ঠের শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে শুকিয়ে মারার ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান” জানিয়ে যে কটাক্ষপূর্ণ এবং উস্কানীমূলক মন্তব্য করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ আজ ০৪ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে লক্ষ্য করে অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের লিখিত নিবন্ধটি প্রতিহিংসাপরায়ণ ও জিঘাংসামূলক।
সচেতন দেশবাসী ভাল করেই জ্ঞাত আছেন যে, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এক সময় গণবাহিনীর রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে দেশে সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়েছিলেন। তারাই দেশে সন্ত্রাসী রাজনীতির জন্ম দিয়ে নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথ রুদ্ধ করার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাদের সৃষ্ট অগণতান্ত্রিক সন্ত্রাসী গণবাহিনীর রাজনীতিই তৎকালীন সরকারকে একদলীয় শাসন কায়েমের সুযোগ করে দিয়েছিল। তারা ১৯৭৪ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালায় এবং এতে অনেক হতাহত হয়। তারা গণবাহিনী সৃষ্টি করে গুপ্ত হত্যা চালিয়ে হাজার হাজার লোককে হত্যা করেছিলেন।
এখন তারাই আবার আওয়ামী লীগ সরকারের ঘাড়ে চড়ে জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করার জন্য সরকারকে উস্কানী দিয়ে দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন। তারা জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করাচ্ছে এবং জামায়াতকে শুকিয়ে মারার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের উস্কানীমূলক পরামর্শ দিচ্ছে। তাদের আসল উদ্দেশ্যই হলো দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করে জনগণকে শোষণ করা।
তার লেখাটি জামায়াতের প্রতি বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসাপূর্ণ। সন্ত্রাস, হিংসা ও বিদ্বেষের রাজনীতির পরিণতি কখনো শুভ হয় না। তার লেখাতেই প্রতিফলিত হয়েছে যে, তারা দেশে সংঘাত-সংঘর্ষ ও হানাহানি সৃষ্টি করে দেশকে ব্যর্থ এবং অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাক্সক্ষীদের অর্থে পরিচালিত হয়ে থাকে। সুতরাং জামায়াতকে শুকিয়ে মারার তাদের খায়েস কখনো পূর্ণ হবে না। কাজেই জামায়াত সম্পর্কে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”