দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী কর্তৃক “দুই যুগের দুই মীর কাসেমঃ পরিণতিও কি প্রায় অভিন্ন?” শিরোনামে আজ ৫ সেপ্টেম্বর লিখিত নিবন্ধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য শহীদ মীর কাসেম আলীর চরিত্র হননের জঘন্য অপপ্রয়াসের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ আজ ৫ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী শহীদ মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে যে সব কুৎসাপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তার কোন ভিত্তি নেই।
শহীদ মীর কাসেম আলীকে হেয়-প্রতিপন্ন করার হীন উদ্দেশ্যেই আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তার সম্পর্কে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য পরিবেশন করেছেন। এতে । শহীদ মীর কাসেম আলীর ১৯৭১ সালের ভূমিকা নিয়ে তিনি যেসব কথা লিখেছেন তা কাল্পনিক। ১৯৭১ সালের গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা, নারী নির্যাতন ও নারী ধর্ষণের সাথে শহীদ মীর কাসেম আলীর কোন সম্পর্ক ছিল না। তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত এ সব অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী গুজবের ওপর ভিত্তি করেই শহীদ মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। তার লেখার মধ্যেই তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ‘মীর কাসেমের বিরুদ্ধে প্রচারিত গুজব কতটা সঠিক জানি না।’ তিনি লিখেছেন যে, ‘মীর কাসেমের নামাজে জানাজায় তার পরিবারের মুষ্টিমেয় লোক ছাড়া আর কেউই আসেনি।’ দেশবাসী সকলেই জানেন যে, গত ৪ সেপ্টেম্বর দেশে-বিদেশে শহীদ মীর কাসেম আলীর শাহাদাত কবুলের জন্য শতশত গায়েবানা জানাজা ও দোয়ার অনুষ্ঠান হয়েছে। তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে। যদি সরকার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে তার নামাজে জানাজার ব্যবস্থা করার অনুমিত দিত তাহলে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীরা দেখতে পেতেন যে, তার নামাজে জানাজা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। শহীদ মীর কাসেম আলীর বিপুল জনপ্রিয়তার দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে, তিনি নির্দোষ ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ইসলাম বিরোধী মহল শুধু শুধু কুৎসা রটিয়ে তার ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
কাজেই শহীদ মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা প্রচারণা চালানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”