বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ইসলামী অর্থনীতিবিদ ও সমাজ সেবক শহীদ মীর কাসেম আলীকে সরকার পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে জামায়াতের আহবানে সাড়া দিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর সারা দেশে সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করার জন্য দেশবাসীকে আন্তরিকভাবে মুবারকবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৫ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আহুত শান্তিপূর্ণ হরতাল কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে সরকার চরম অন্যায় করেছে। আমি সরকারের এ অগণতান্ত্রিক আচরণের নিন্দা জানাই।
শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল আহ্বান করা ও পালন করা দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার। এ অধিকারে সরকার বাধা দিতে পারে না। সরকারের বাধা-প্রতিবন্ধকতা, গ্রেফতার ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জামায়াতের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করে শহীদ মীর কাসেমকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হত্যা করার নির্মম ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
৫ সেপ্টেম্বর হরতাল বানচালের উদ্দেশ্যে নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য প্রভাষক জিয়াউল হক এবং তার বৃদ্ধ পিতা মাওলানা ইউনুস আলীকে পুলিশ ৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত গভীর রাতে, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ পৌরসভা জামায়াতের আমীর সিরাজুল ইসলামসহ ১৭ জন নেতা-কর্মীকে এবং কুমিল্লা জেলার লাকসামে জামায়াতের ৫ জন কর্মীকে, নড়াইল জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী রফিকুল ইসলামসহ তিনজনকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থানে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এভাবে পুলিশ দিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে সরকার দেশকে একটি পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যানসহ সারা দেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”