৩০ মার্চ ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৫:৩৪

রাজধানীতে তারাবির নামাজ থেকে ১৭ জনকে আটক ও রিমান্ড মঞ্জুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

রাজধানী ঢাকার গুলশানে কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র থেকে ১৭ জনকে আটক ও আদালত কর্তৃক রিমান্ড মঞ্জুরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২৭ মার্চ সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানের শাহজাদপুর এলাকার একটি কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র থেকে তারাবি নামাজরত ইমাম, দুই নারী ও শিশুসহ ১৭ মুসল্লিকে গুলশান থানা পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিতে থানায় আত্মীয়-স্বজন গেলে তাদের মধ্য থেকে ৩ জনকে এবং বাসা-বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আরো ২ জনসহ মোট ২১ জনকে পুলিশ আটক করেছে। এই গ্রেফতারের ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, পুলিশ আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা এবং বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছে। এটি ইতিহাসের চরম জঘন্যতম ঘটনা। পুলিশ দাবি করেছে যে, জামায়াতের বই-পুস্তকের সাথে তারা সেখানে ককটেল পেয়েছে। সাধারণ মুসল্লি এবং নারী ও শিশু তারাবি নামাজ পড়তে গিয়ে ককটেল বহন করেছে মর্মে পুলিশ যে দাবি করেছে, তা হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। পুলিশের এমন নির্লজ্জ মিথ্যাচারে গোটা জাতি স্তম্ভিত।

তিনি বলেন, পুলিশের দাবি তারা জামায়াত-শিবিরের কর্মী। দেশবাসীর প্রশ্ন- জামায়াত-শিবির কী কোনো নিষিদ্ধ দল যে তাদের কর্মী-সমর্থক হলেই গ্রেফতার করতে হবে? আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, দেশের সংবিধান প্রত্যেক নাগরিককে বৈধ যে কোনো দল করার অধিকার দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। কাজেই দেশের যে কোনো নাগরিক জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে যুক্ত হওয়ার অধিকার রাখে। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জুলুম-নিপীড়নের পরিণতি কখনো শুভ হয় না। ভিন্নমতের মানুষকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের উপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।

গণতন্ত্র হরণকারী এই জালেম সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করে সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”