২৫ অক্টোবর ২০১৬, মঙ্গলবার, ৫:১৫

পুলিশ জহুরুল ও সজীবকে হত্যা করে তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঝিনাইদহ শহর শাখার আমীর মো: জহুরুল ইসলাম ও জামায়াতের রুকন তারিক হাসান সজীবকে আজ ২৫ অক্টোবর ভোর রাতে ঝিনাইদহ শহরের বাইপাস সড়কের ভুটিয়ারগাতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পুলিশের গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ২৫ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য যে ষড়যন্ত্র করছে তারই অংশ হিসেবে তাদেরকে পুলিশ নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তারা সম্পূর্ণ নির্দোষ।

পুলিশ বন্দুক যুদ্ধের নাটক সাজিয়ে মোঃ জহুরুল ইসলাম ও তারিক হাসান সজীবকে হত্যা করে তারা তথাকথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ঘটনা স্থান থেকে সার্টারগান, বোমা, গুলি, চাপাতি, ছোঁরা উদ্ধারের কথা অতীতের মত পুলিশের এটাও বানানো কল্পকাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়।

পুলিশ ঝিনাইদহে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের বহু নেতা-কর্মীকে এভাবে গুলি করে হত্যা করে বহু মায়ের বুক খালি করেছে এবং বহু স্ত্রীকে বিধবা করেছে ও বহু সন্তানকে এতিম করেছে। এভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আর কত মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন? তাদের যদি কোন দোষ থাকত তাহলে কেন তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলো না?

আপনারা আল্লাহকে ভয় করুন। মানুষের প্রত্যেক কর্মের জন্য অবশ্যই আল্লাহর সামনে মুখোমুখি হতে হবে। সকল প্রকার ছলচাতুরী এবং ক্ষমতার দাপট সেখানে অসহায়ত্বে পরিণত হবে। সেদিন সবাইকে নিজ নিজ পাওনা আল্লাহ তায়ালা ঠিকই বুঝিয়ে দিবেন। এভাবে যারা মানুষ হত্যা করে ইসলামী আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে চান, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। বরং শহীদদের প্রতি ফোটা রক্ত ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের যুগ যুগ ধরে অনুপ্রেরণা জোগাবে। পরিণতিতে দাম্ভিক, অহংকারী এবং মিথ্যাবাদীরাই পরাজিত হবে, ইনশাআল্লাহ।

ঝিনাইদহ শহর শাখা জামায়াতের আমীর মোঃ জহুরুল ইসলাম ও জামায়াতের রুকন তারিক হাসান সজীবকে পুলিশের নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের শাহাদাত কবুল করে যেন তাদেরকে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান হিসেবে স্থান দান করেন। আমি তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে দোয়া করছি মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফীক দান করুন।”