বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমীর জনাব মকবুল আহমাদ সম্পর্কে আইসিটির তদন্ত সংস্থা প্রধান আবদুল হান্নানের বানোয়াট বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ২১ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নতুন আমীর জনাব মকবুল আহমাদ সম্পর্কে আইসিটির তদন্ত সংস্থা প্রধান আবদুল হান্নান যে সব অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অসত্য।
তিনি তার কর্মজীবনের সূচনায় ফেনীর দুটি স্বনামধন্য উচ্চ বিদ্যালয়ে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন। নির্মল চরিত্রের এই শিক্ষক তার ছাত্র-ছাত্রী ও সহকর্মী এবং সর্বস্তরের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন সজ্জন ব্যক্তি। এমন একজন খ্যাতিমান সার্বক্ষণিক শিক্ষকের রাজাকার থাকা কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসেনা। শিক্ষকতার পেশায় নিয়োজিত একজন শিক্ষকের রাজাকার থাকার কথা কোন অবোধ শিশুও বিশ্বাস করবে না। তাই ঐ এলাকার রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করার জন্য আমি আবদুল হান্নানের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
কোন মানুষকে হত্যা বা হিন্দুদের বাড়ী-ঘরে অগ্নিসংযোগ করা বা নির্দেশদানের সাথে জনাব মকবুল আহমাদের জড়িত থাকার প্রশ্নই অবান্তর। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নান ও শরীয়ত উল্যাহ বাঙালী’র বরাত দিয়ে জনাব মকবুল আহমাদের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যা ও লালপুর গ্রামে হিন্দু পাড়ায় অগ্নিসংযোগ করে ১০জনকে হত্যা করার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা।
স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৪৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কোন সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, সুভাকাঙ্খী কিংবা দেশের কোন নাগরিক তার বিরুদ্ধে সামান্যতম কোন অভিযোগ উত্থাপন করেননি। এ থেকেই প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্র। জামায়াতে ইসলামী ও তার নেতৃত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করার সরকারী ষড়যন্ত্রের এটি হচ্ছে সর্বশেষ নিকৃষ্ট উদ্যোগ। তিনি ছয় বছরের অধিক সময় জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর হিসাবে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। তিনি সমাজের কিংবা দেশের কোন অপরিচিত ব্যক্তি নন। ভারপ্রাপ্ত আমীরের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ও তার বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ কেউ উত্থাপন করতে পারেনি।
আমরা তাই সরকারকে এ ধরনের নোংড়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”