৪ এপ্রিল ২০২২, সোমবার, ১০:৪৭

মাওলানা শাহীনুর আলম এবং ছাত্রশিবিরের ১৪ জন নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

সিরাজগঞ্জ জেলা ইসলামী ছাত্রশিবির কর্তৃক আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠক ও ইফতার মাহফিল থেকে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা শাহীনুর আলম এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৪ জন নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৪ এপ্রিল ২০২২ এক বিবৃতি প্রদান করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “৩ এপ্রিল পহেলা রমাদান সন্ধ্যা ৬টায় সিরাজগঞ্জ পৌরসভার দারুল ইসলাম একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা ইসলামী ছাত্রশিবির কর্তৃক আয়োজিত সাংগঠনিক বৈঠক ও ইফতার মাহফিল থেকে ইফতারীর ঠিক পূর্ব মুহূর্তে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা শাহীনুর আলম এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৪ জন নেতাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, শহর সেক্রেটারি ইমরান হোসেন, জেলা সেক্রেটারি আলহাজ উদ্দিন, জেলা অফিস সম্পাদক আঃ আজিজ, জেলা প্রকাশনা সম্পাদক আইয়ুব আলী, শিবিরের সদস্য মনিরুল ইসলাম ও আঃ সালাম, এনায়েতপুর থানা শিবির সভাপতি জাকারিয়া হোসেন, শাহজাদপুর পশ্চিম থানা সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম, রোড থানা সভাপতি আবু বকর, সলঙ্গা থানা সভাপতি সোয়াইব হোসেন, সলঙ্গা থানা সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম, উল্লাপাড়া কামিল মাদ্রাসা সভাপতি আল-আমিন হোসেন এবং উল্লাপাড়া কামিল মাদ্রাসা সেক্রেটারি হাফেজ মনিরুল ইসলাম। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ককটেল উদ্ধারের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ এনে বিস্ফোরক আইনে মামলা দিয়ে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে। আমি পুলিশের এই অন্যায় গ্রেফতার এবং মিথ্যা সাজানো মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের একটি অন্যতম প্রধান ও জনপ্রিয় ইসলামী ছাত্র সংগঠনের নাম। তারা অত্যন্ত সুনামের সাথে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা ছাত্রদেরকে দেশের আদর্শ নাগরিক ও মাতা-পিতার জন্য চক্ষুশীতলকারী সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের তৎপরতায় দেশে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আদর্শ ও সৎ নাগরিক তৈরি হয়েছে। তারা দেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দক্ষতা, যোগ্যতা ও অত্যন্ত সুনামের সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এবং দেশের কল্যাণে অবদান রেখে চলেছে।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সবেমাত্র পবিত্র রমাদান শুরু হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম প্রধান এ দেশে রমাদান মাসব্যাপী ধর্মীয় ভাব-গাম্ভির্যময় পরিবেশ বিরাজ করে। বহু বছর ধরে এ দেশে ইফতার মাহফিল হয়ে আসছে। পবিত্র রমাদানের সূচনালগ্নে সরকার তাদেরকে গ্রেফতার করে চরম অন্যায় করেছে। বর্তমানে দেশে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। সরকার সেই অপরাধীদের গ্রেফতার না করে উলটো সিয়াম পালনকারী ধর্মপ্রাণ মানুষকে গ্রেফতার করছে। শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এটি অনাকাক্সিক্ষত, অনভিপ্রেত ও খুবই দুঃখজনক। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে এ ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।

জুলুম-নিপীড়ন বন্ধ করে সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা শাহীনুর আলম এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১৪ জন নেতাকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”