৪ নভেম্বর ২০১৬, শুক্রবার, ৩:১৯

মাহবুব-উল-আলম হানিফের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ আজ ৪ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় “অতীতে দেশের সংখ্যালঘুদের উপর সব হামলার সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার” যে ভিত্তিহীন মিথ্যা দাবী করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ৪ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “আমি মাহবুব-উল-আলম হানিফের বক্তব্য চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, অতীতে দেশের সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর জড়িত থাকার কোন প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি এবং ভবিষ্যতেও পারবে না।

দেশবাসী ভাল করেই জানেন যে, কক্সবাজারের রামুর ঘটনা থেকে শুরু করে অতীতে সংখ্যালঘুদের উপর যতবার হামলা হয়েছে তাতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার প্রমাণই পাওয়া গিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নাসির নগরে সংখ্যালঘূদের উপর হামলার ব্যাপারেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই জড়িত। তাদের জড়িত থাকার কারণেই স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে নিষ্ক্রিয়তা প্রদর্শন করে ঐ ঘটনায় মদদ দিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি-জমা-বাড়ীঘর দখল করার হীন উদ্দেশ্যেই প্রশাসনের ছত্র ছায়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঐ ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই মাহবুব-উল-আলম হানিফ সাহেবরা এখন বিএনপি ও জামায়াতকে লক্ষ্য করে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিচ্ছেন।

দেশবাসীর মনে প্রশ্ন মাত্র ৩দিনের ব্যবধানে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়ীতে দু’বার হামলা হওয়া সত্বেও স্থানীয় প্রশাসন নিরব থাকলো কেন? দেশবাসী মনে করে গত ৩০ অক্টোবর নাসির নগরে হিন্দুদের বাড়ীতে হামলা-ভাংচুর ও ৩ নভেম্বর দিবাগত গভীর রাতে নাসির নগরে হিন্দুদের ৬টি বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ এবং মাদ্রাসা ও মসজিদে তালা দেয়ার ঘটনা এবং হবিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, বরিশালের বানারীপাড়া, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, বগুড়ার ধুনট, যশোহরে এবং ঠাকুরগাঁয়ে হিন্দুদের বাড়ী-ঘরে, মন্দিরে হামলার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার ঘটনা থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরানোর উদ্দেশ্যেই এখন আওয়ামী লীগের নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীকে লক্ষ্য করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বক্তব্য দিচ্ছেন এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হিন্দুদের বাড়ী-ঘরে, মন্দিরে হামলা করছে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার নাসির নগর, হবিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, যশোহর, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও ফরিদপুরে হিন্দুদের বাড়ী-ঘরে, মন্দিরে হামলার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ঐ সব ঘটনার সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”