গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকান্ডের ঘটনায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের দিকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের উস্কানীমূলক, অসত্য ও ভিত্তিহীন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আজ ২ জানুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গত ১ জানুয়ারী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রদত্ত উস্কানীমূলক মিথ্যা বক্তব্যে আমরা বিস্মিত হয়েছি।
আমরা গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার নিন্দা এবং ঐ হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছি। তা সত্ত্বেও কোন রকম তদন্ত ছাড়াই জাহাঙ্গীর কবির নানক জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতি ইংগিত দিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সর্বৈব মিথ্যা। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর হীন উদ্দেশ্যেই তিনি এ হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন। নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের স্ত্রীর বক্তব্যে এবং বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের রিপোর্টে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলের দিকেই ইংগিত দেয়া হয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দারা বলেছে যে, খুনিরা এমপি লিটনের পূর্ব পরিচিত। এমপি লিটনের ছোট বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামী করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অথচ তা উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের নেতারা জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের দিকে ইংগিত দিয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার জন্যই এসব বক্তব্য দেয়া হচ্ছে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দেখে মনে হচ্ছে তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হীন উদ্দেশ্যেই জামায়াত-ছাত্রশিবিরের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। কোন ঘটনা ঘটলেই তার সাথে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালায়। অতীতেও বার বার এ ধরনের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু তারা তাদের বক্তব্যের সত্যতা কখনো প্রমাণ করতে পারেনি। আমি আবারো দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, জামায়াত ও ছাত্রশিবির সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। তাই সংসদ সদস্য লিটনের হত্যাকান্ডের সাথে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কোন সম্পর্ক থাকার প্রশ্নই আসে না। নিজেদের দায়ভার অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার হীন উদ্দেশ্যেই এসব মিথ্যাচার করা হচ্ছে। আমি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই যে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের প্রবণতা ছেড়ে দিয়ে প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করুন। তাহলেই দেশে শান্তি আসবে।
সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনে হত্যাকান্ড ও তার পরবর্তী ঘটনাসমূহের বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি প্রদান এবং এ ঘটনার সাথে অন্যায়ভাবে জড়িয়ে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের যে সমস্ত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে নিঃর্শতভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি আবারও জোর দাবি জানাচ্ছি।”