৫ জানুয়ারি ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ২:১১

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ

সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কারো কোন সম্পর্ক নেই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৪ জানুয়ারী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকান্ডের জন্য পরোক্ষভাবে জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করে যে ভিত্তিহীন অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৫ জানুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গাইবান্ধা-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কারো কোন সম্পর্ক নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐ হত্যাকা-ের সাথে পরোক্ষভাবে জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করে যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন তার কোন ভিত্তি নেই। তদন্ত ও প্রমাণ ছাড়াই তার এ ধরনের বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। কোন ঘটনা ঘটলেই তার জন্য জামায়াতকে দায়ী করে অসত্য বক্তব্য দিয়ে পানি ঘোলা করার এ প্রবণতা জাতি বরাবর লক্ষ্য করে আসছে।

তার বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, জামায়াত ও ছাত্রশিবির কখনো হত্যা এবং সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। প্রধানমন্ত্রীর মত দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য প্রদান করার অর্থই হচ্ছে তদন্ত এবং বিচারকে প্রভাবিত করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ক্ষতিগ্রস্ত করা এবং প্রকৃত খুনীদেরকে আড়াল করা। এ ধরনের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে সন্ত্রাস বন্ধ হওয়া তো দূরের কথা প্রকারান্তরে সন্ত্রাসীরা আরো উৎসাহিত হবে এবং বিচার প্রার্থীরা কখনো ন্যায়বিচার পাবে না। জাতির সামনে আজ বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে যে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের মরহুম মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন যদি জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবিরকে ধ্বংস করার আওয়ামী হাতিয়ারে পরিণত হয়ে থাকেন তাহলে ঘটনার দিন তিনি কাদেরকে সাথে নিয়ে তার ড্রইং রুমে ঢুকে ছিলেন? তার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ মহল থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জামায়াতকে দায়ী করে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য তাড়িত বক্তব্য দিয়েই চলেছেন তাতে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ভাই এবং বোনেরা কেন গভীর উদ্বেগ ও আপত্তি জানাচ্ছেন? ঐ দিন তার বাড়ী কেন লোকশূন্য হয়ে গিয়েছিল? প্রত্যক্ষ দর্শীরা কেনইবা পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়ে চলেছেন। আমরা বিশ্বাস করি যদি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত হয় তাহলে প্রকৃত খুনীদের পরিচয় যেমন বেড়িয়ে আসবে ঠিক তেমনিভাবে অতীতের সকল অপবাদের মত এবারও জামায়াতকে দায়ী করে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যে অপবাদ দিয়ে চলেছেন তা ষোলআনা মিথ্যা প্রমাণিত হবে ইনশাআল্লাহ।

আমরা তাই আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে এ ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো ও অবৈধ হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকার এবং জামায়াতের উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়া বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”