৫ই জানুয়ারী ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৪ জানুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে নির্বাচনের প্রহসনের নাটক মঞ্চস্থ করে গণতন্ত্র হত্যা করেছে। এ দিনটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল, সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে যার কোন নজির নেই।৪৭টি ভোটকেন্দ্রে কোন ভোটারই ভোট দিতে যায়নি। সেই নির্বাচনের প্রহসন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত দেশে উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও জেলা পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত প্রায় সকল নির্বাচনই ছিল ভোটারবিহীন একতরফা সাজানো প্রহসনের নাটক। এ সব নির্বাচন থেকেই প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে, বর্তমান সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচনের সময় সরকার বলেছিল যে, ‘এ নির্বাচন শুধুমাত্র সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। পরবর্তী সময় সকল দলের অংশগ্রহণে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।’ কিন্তু সরকার সে প্রতিশ্রুতি আজও পালন করেনি। বরং নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করে দিয়েছে। ফলে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
বর্তমান সরকারের দুঃশাসনে দেশের জনগণ অতিষ্ঠ। এ অবস্থা থেকে জাতিকে উদ্ধারের জন্য নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণে সকলের নিকট একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। তাই জাতিকে এ দুঃসহ অবস্থা থেকে উদ্ধারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”