২৮ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৮:০৮

সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় দেশের মানুষ ভোট দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি, ভোট ডাকাতি ও নির্বাচনের নামে প্রহসনের নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৮ জানুয়ারি ২০২১ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,

“২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতি আরও একটি প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যক্ষ করল। ভোট কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্ট বের করে দেয়া এবং ব্যাপক সহিংসতার মধ্য দিয়ে গতকাল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী দেশে চলমান পৌরসভা নির্বাচনের কোথাও কোথাও শতভাগ ভোট পড়ার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি মৃত মানুষের ভোট দেয়ার ঘটনাও ঘটছে। এ ধরনের নজিরবিহীন কারচুপির নির্বাচন এ দেশের মানুষ আর কখনো দেখেনি। গত ১১ বছর ধরে এই সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে একটি তামাসায় পরিণত করেছে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় দেশের মানুষ ভোট দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এ ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে।

সরকারের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে দেশের মানুষ ধরে নিয়েছিল চট্টগ্রামে আরো একটি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যচ্ছে। আর এজন্যই তারা ব্যাপকহারে ভোটাধিকার প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকে। ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে ভোটারগণ বর্তমান সরকার ও তার অনুগত নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে।

আমরা ইতোপূর্বেও বলেছিলাম জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না মর্মে আমাদের আশঙ্কা আবারো সত্য প্রমাণিত হলো।

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মজবুত করার লক্ষ্যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের এবং ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”