গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর রহমান আযাদ আজ ৪ জানুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গাইবান্ধা-১ আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের প্রকৃত হত্যাকারীদের বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ও তাদের সমর্থক কতিপয় সংবাদপত্র এবং কোন কোন মিডিয়া জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং কাল্পনিক বক্তব্য প্রচার করছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যার ঘটনার পরপরই আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ও তাদের সমর্থক কিছু সংবাদপত্র এবং কোন কোন মিডিয়া জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং কাল্পনিক বক্তব্য দিয়ে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। থলের বিড়াল বেড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তারা ঐ হত্যাকা-ের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত কাজ ব্যাহত করার উদ্দেশ্যেই মিথ্যাচার করছে।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত রিপোর্টে লেখা হয়েছে যে, সরকারী দলের মিথ্যা প্রচারণায় বিরক্ত হয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাগণ ইতোমধ্যেই বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, ‘সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে শুরু করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকেরা যেভাবে জামায়াতকেই ঘটনার জন্য দায়ী করছেন তাতে স্বাধীনভাবে তদন্ত কাজ করা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।’ অন্যদিকে নিহত সংসদ সদস্যের বোনদের গত ৩ জানুয়ারী প্রদত্ত বক্তব্যের বরাত দিয়ে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের রিপোর্টে লেখা হয়েছে ‘খুনিদের আড়াল করতে জামায়াতের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে।’ তারা ‘ঘরের লোক ও নিকট আত্মীয়দের ভূমিকাও’ খতিয়ে দেখার দাবী করেছেন। তাছাড়া এমপি লিটনের স্ত্রীসহ প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যে জানা গিয়াছে যে, এমপি লিটনের অনুমতি নিয়েই ২ জন লোক ভিতরে প্রবেশ করেছিল। তিনি কি অপরিচিত জেনেই তাদের ভিতরে ঢুকতে দিলেন? নাকি তিনি পরিচিত লোকদেরকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দিয়েছিলেন? এ সকল বিষয়ই প্রমাণ করে যে, আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য হাস্যকর, অবাস্তব ও পরষ্পর বিরোধী। এসব বক্তব্য থেকেই পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে যে, ঐ হত্যাকাণ্ডের সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
অথচ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের লোকদের গণহারে গ্রেফতার এবং হয়রানি করছে। অবিলম্বে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সেই সাথে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করার জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থেই জামায়াত ও ছাত্রশিবিরকে দায়ী করে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”