২ নভেম্বর ২০২০, সোমবার, ৭:৩১

লালমনিরহাট ও কুমিল্লার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান

লালমনিরহাট ও কুমিল্লার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,

“গত ২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী কেন্দ্রীয় মসজিদে দুই জন লোক কুরআন অবমাননা করায় উপস্থিত মুসুল্লীগণ তাদেরকে ধরে নিয়ে যায় এবং মারধর করে। এক পর্যায়ে গণপিটুনীতে একজন লোকের মৃত্যু হয়। উত্তেজিত জনতা পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাকে পুড়িয়ে ফেলে। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও হৃদয়বিদারক। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছিল এটা উত্তেজিত জনতার কাজ। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম ঘটনার তিন দিন পর এটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীন উদ্দেশ্যে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হচ্ছে। পুলিশ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জামায়াতের লোকজনকে হয়রানি করছে। প্রকৃত ঘটনাকে আঁড়াল করে জামায়াতের লোকজনকে হয়রানি করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এই হয়রানি বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

অপরদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরে কোরবানপুর গ্রামের দুই ব্যক্তি তাদের ফেসবুক আইডি থেকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে ফ্রান্সে প্রদর্শিত ব্যঙ্গচিত্রকে সমর্থন করে মন্তব্য করেন। বিষয়টি স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হলে এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে - যা নিতান্তই দুঃখজনক।

আমরা অবিলম্বে লালমনিরহাটে ষড়যন্ত্র ও গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করে আটক নেতৃবৃন্দের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি। সেই সাথে লালমনিরহাট ও কুমিল্লার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।”