৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার, ৭:৩২

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ

লাগামহীনভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনসাধারনের নাভিশ্বাস উঠেছে

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ৯ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেনঃ-

“দেশে নিত্যপণ্যের মূল্য অব্যাহতভাবে বেড়েই চলছে। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শতভাগ পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে চাল প্রতি কেজিতে ৭ টাকা, আটা ১০ টাকা, ডাল ১০ টাকা, পেয়াজ ৩০-৪০ টাকা, রসূন ২০ টাকা, প্রতি ডজন ডিমে ১০-১৫ টাকা এবং প্রতি লিটার তেলে ৪-৫ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও চিনির মূল্য কেজিতে ১০-১২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকল প্রকার সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে।

করোনার কারণে এমনিতেই মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গিয়েছে। চাকুরি হারিয়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে মানুষের আয়ের পথ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় লাগামহীনভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনসাধারনের নাভিশ্বাস উঠেছে। এ যেন ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’।

অস্বাভাবিক এই মূল্য বৃদ্ধির পেছনে যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট মনিটরিং না থাকার কারণেই এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী কারসাজি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ এই সরকার নিত্যপণ্যের মূল্য কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। সকল ক্ষেত্রেই সরকার দলীয় লোকজনের অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র ফুটে উঠছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং নিত্যপণ্যের মূল্য জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”