আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হান্নান খান তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে আজ ১৪ নভেম্বর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদের “মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে।” মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা মন্তব্য করেছেন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১৪ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “১৯৭১ সালে জনাব মকবুল আহমাদ ফেনীর একটি স্বনাম ধন্য উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তখন তিনি রাজাকার বা রাজাকার কমান্ডার বা শান্তি কমিটির সংগঠক তো দূরের কথা একজন সাধারণ সদস্যও ছিলেন না। কাজেই মুক্তিযুদ্ধের সময় তার মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য প্রমাণ থাকার প্রশ্নই আসে না।
তিনি তো রাজাকার বাহিনীর সাথে জড়িত ছিলেন না। সুতরাং তার নাম রাজাকারের তালিকায় আসবে কোথা থেকে? তার বিরুদ্ধে ৭ থেকে ১১ জনকে হত্যা এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে হত্যার নির্দেশ দানের যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। কোন হত্যাকাণ্ডের সাথেই তিনি জড়িত ছিলেন না।
মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অসৎ উদ্দেশ্যেই তার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করা হচ্ছে।
জনাব মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করে তাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”