১ নভেম্বর ২০১৯, শুক্রবার, ৭:৪২

দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

খুলনা, ঢাকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বরিশালে জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব হামিদুর আযাদ আজ ০১ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গত ৩১ অক্টোবর খুলনা মহানগরী শাখা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাস্টার শফিকুল আলমসহ ২ জন নেতা-কর্মীকে, আজ ১লা নভেম্বর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য জনাব আবদুস সবুর ফকির ও জনাব ফরিদ হোসাইন, কদমতলী থানা শাখা জামায়াতের আমীর মাওলানা আমিরুল ইসলাম বাহারসহ ৫ জন নেতা-কর্মীকে, গত ৩১ অক্টোবর চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ১১ জন নেতা-কর্মীকে এবং বরিশাল মহানগরীতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ২ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। আমি এ ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সরকার জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের উপর পর্বত প্রমাণ জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। অথচ গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ কোন প্রতিবাদ সরকার সহ্য করতে পারছে না। এতে সরকারের চরম অগণতান্ত্রিক চরিত্র অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হচ্ছে।

সরকারের জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা সকল সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ধারাবাহিকভাবে হত্যা করছে। আর সরকার তার কোন রকমের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে দিচ্ছে না। সরকার অব্যাহতভাবে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলগুলোর উপর দমন-নিপীড়ন চালিয়ে গোটা দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। দেশে আজ কোন মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষকে হত্যা করছে। অথচ সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। দেশে আইনের শাসন ও গণতন্ত্র বলতে কোন কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। এ অবস্থায় কোন দেশ চলতে পারে না। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

জুলুম নির্যাতন বন্ধ করে খুলনা মহানগরী শাখা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাস্টার শফিকুল আলমসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”