৭ অক্টোবর ২০১৯, সোমবার, ৭:২১

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা

দলীয় আশকারা পেয়েই ছাত্রলীগ সারা দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে নৈরাজ্যজনক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৭ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই।

চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দুর্নীতিপরায়ণ ছাত্র নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী নেতা-কর্মীদের অপরাধের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে আজ জিম্মি হয়ে পড়েছে। সরকারের সমালোচনা করে একটি ফেইসবুকে স্ট্যাটাস প্রদান করার কারণে আবরার ফাহাদের মত একজন নিরীহ নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রকে হত্যার মাধ্যমে ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে যে, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের জান-মালের কোন নিরাপত্তা নেই। ইতোপূর্বে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত কোমলমতি স্কুল ছাত্র-ছাত্রী এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরাও ছাত্রলীগের হামলা থেকে রেহাই পায়নি। ছাত্রলীগের খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।

লাগামহীন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতির কারণে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক বহিস্কৃত হওয়ার পরেও অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাই প্রমাণ করে যে, তাদের বহিস্কার সত্ত্বেও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী চরিত্র একটুও বদলায়নি। তাদের বহিষ্কার আইওয়াশ মাত্র। মূলত দলীয় আশকারা পেয়েই ছাত্রলীগ সারা দেশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ ধরনের নৈরাজ্যজনক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

আবরার ফাহাদ হত্যার সাথে জড়িত ছাত্রলীগের সকল সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”