বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী একাত্তরের তকমা লাগিয়ে ৫৪ বছর জনগণের সাথে চরম প্রতারণা করছে। জামায়াতে ইসলামীর দেশপ্রেমিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মানুষকে মিথ্যা গল্প শুনিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ একাত্তরকে পুঁজি করে মূলত এই দেশকে শোষণ করেছে। গণতন্ত্রের সঙ্গে তারা চরম বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করে এদেশে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিল। নিজ দলীয় গণমাধ্যম ব্যতিত সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিল।”
০৩ জানুয়ারি জুমাবার বিকেলে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ডেমরা থানার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মোঃ নূরুল ইসলাম বুলবুল, মহানগরী নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির, সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সহকারী সেক্রেটারি মুহা. কামাল হোসাইন, নারায়নগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “দুনিয়ার কল্যাণের সাথে আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াতে ইসলামী। এদেশের মানুষের সত্যিকার কল্যাণে ও মুক্তির জন্য ছাত্র জনতার বিপ্লবে অর্জিত এই নতুন বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে অবশ্যই জামায়াতে ইসলামীকে বেঁছে নিতে হবে। ইসলামকে রাষ্ট্র থেকে বাদ দেয়ায় দেশে নানাবিধ সেক্টরে অশান্তি তৈরি হয়েছে। মুসলমানদের এই বাংলাদেশে আল্লাহর আইন ছাড়া সুবিচার কখনোই আসবে না। মানুষ নিজের স্বার্থ দেখে, কিন্তু ইসলামী বিধান দেশের প্রতিটি নাগরিকের ভালো থাকার নিশ্চয়তা দেয়।”
তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে জাতীয় সংসদে কুরআনের আইনকে যারা বিজয়ী করতে চায় তাদেরকে পাঠাতে হবে। জনগণ যদি তা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আবারো দেশ পশ্চাতে অগ্রসর হবে। যারা রাজনীতি করেন তাদের চরিত্রবান হতে হবে। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলগুলো কেবল নিজেরা ভালো থাকার চিন্তা করেছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ চরিত্রহীন হলে দেশের জন্য চরম বিপদ ডেকে আনেন। সুতরাং অবশ্যই সচেতন থেকে মানুষের কল্যাণে এগিয়ে যেতে হবে।”