বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দসহ দেশের ইসলামী দলগুলোকে নিঃশেষ করে শেখ হাসিনা এদেশে একক কর্তৃত্ব কায়েম করতে চেয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নামে দলীয় বিচারক, দলীয় প্রসিকিউটর দিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। সেই ট্রাইব্যুনালে দলীয় সাক্ষী দিয়ে সাজানো মামলায় শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারিক হত্যা করা হয়েছে। হাসিনার গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা সাজানো মামলায় ফাঁসির আদেশ দিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। তিনি সেই ট্রাইব্যুনালের বিচারক, প্রসিকিউটর, সাক্ষীদের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পল্টন থানার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর শাহীন আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন এবং সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়ো করছে না। তবে কালক্ষেপণও চায় না। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন হবে না। আবার নির্বাচনে কালক্ষেপণ হলেও ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকবে। তাই অন্তবর্তী সরকারের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করে একটি অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করা।”