২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১০:১৩

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের রুকন শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

পতিত স্বৈরাচারের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবে

-মাওলানা এটিএম মা’ছুম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেছেন “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে পতিত স্বৈরাচারের সকল ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবে। দেশে পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে। তাদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়া হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশে আমাদের থাকতে হবে। এ অবস্থায় সচেতন রাজনৈতিক দল হিসেবে অন্যদের তুলনায় জামায়াতে ইসলামীর দায় অনেক বেশি।”

তিনি আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য (রুকন) শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগরী আমীর শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন এর সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। দারসুল কোরআন পেশ করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. আবু বকর রফিক আহমদ। আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, “আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেনি। তারা ভিন্ন রাষ্ট্রের আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল। ইসলামের বিরুদ্ধে এমন কোনো কাজ নেই যা তারা করেনি। দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর আলেম-ওলামাকে জেল-জুলুম দিয়ে নির্যাতন করেছে। ইসলাম তাদের কাছে সহ্য হয়নি। শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। ইসলামের গন্ধ যেখানেই ছিল সেখানেই তারা পরিবর্তন করেছে। প্রতিটি খুনের বিচার করতে হবে। কোনোভাবেই বাংলাদেশকে হায়নার হাতে তুলে দেয়া হবে না।”

মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “যারা ঈমানদার তারা আল্লাহকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। দ্বীনের জন্য তারা ফাঁসি বরণ করতেও ভয় পায় না। আল্লাহকে ভালোবেসে তা মনে ধারণ করাই হলো তাকওয়া। তাকওয়ার চেতনায় আমাদেরকে কাজ করে দুনিয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কুরআন-সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরে হকের ওপর অটল থেকে আল্লাহর ভয়ে জীবনের প্রত্যেকটি কাজ করতে হবে এবং যার যে দায়িত্ব আছে তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।”

মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা নবী-রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদের নৈতিক শিক্ষা দিয়েছেন এবং সত্যের সাক্ষ্যদাতা বানিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী সেরকমই সত্যের সাক্ষ্য দেয়ার দল। সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে সোনালী সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।পরামর্শ, পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব, এহতেসাব ও আনুগত্যের মাধ্যমে সংগঠনের মজবুতি ভিত্তি তৈরি করতে হবে।”