বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “বৈষম্যহীন সমাজ মানেই হল সমাজকে কোরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালনা করা। যতদিন পর্যন্ত সমাজ ও রাষ্ট্রে কুরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালিত হবে না ততদিন পর্যন্ত দেশে বৈষম্য চলতেই থাকবে। যারা দুর্নীতি করেছে, মানুষের প্রতি জুলুম করেছে, নির্যাতন করেছে তাদেরকে বহাল রেখে সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা বৈষম্যহীন করা সম্ভব নয়।”
তিনি আজ ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার রাজশাহী মহানগরী জামায়াত আয়োজিত সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে "বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাসূলুল্লাহ (স.) এর আদর্শ” শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রাজশাহী মহানগরীর আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জনাব ইমাজ উদ্দিন মন্ডল এর সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বিশিষ্ট প্রবন্ধকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মাসুদ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. এ কে এম আব্দুল লতিফ। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মোফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালী, মুফতি হাবিবুল্লাহ কাশেমী, অধ্যক্ষ মওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা রুহুল আমিন প্রমুখ।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আমাদের শুধু বক্তব্য শোনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা যাবে না। আমাদের ব্যক্তিগত, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অনুসরণ করতে হবে। পতিত হাসিনা সরকার সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করার নামে দেশের সকল স্তরে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। তারা তাদের দলীয় নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষদের কোথাও কোন স্থান দেয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। সমাজের একশ্রেণীর মানুষ ইসলামকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে ইসলামকে কলঙ্কিত করেছে। সমাজ থেকে ঘুষ ,দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করতে হলে তাকওয়া সম্পন্ন মানুষের প্রয়োজন। যাদের মধ্যে তাকওয়া নেই সেসব ব্যক্তিকে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব দেওয়া উচিত নয়।”