বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। জননিরাপত্তা মারাত্মক সংকটে নিপতিত। পরিবারিক, সামাজিক ও ইসলামী মূল্যবোধ অবক্ষয়ের কারণে সামাজিক নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকারের কোন মর্যাদা নেই বললেই চলে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের বাজার আওয়ামী সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ জনগণ দিশেহারা। দীর্ঘ পনের বছরের অধিক গণতন্ত্রহীনতার কারণে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এহেন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারই দায়ি। তাই সকল সংকট, সীমাবদ্ধতা ও রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশের মানুষের কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামীর রুকনদেরকে অগ্রণী ও সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে।”
৬ জুলাই শনিবার কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আয়োজনে সদস্য (রুকন) শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারীর সভাপতিত্বে এবং জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী ও জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে জামায়াতে ইসলামী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে জনগণ থেকে জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করার অপকৌশল দেশবাসী রুখে দিয়েছে। তাই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী ভবিষ্যতে আরো বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।”
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “ইসলামের সোনালী অধ্যায় রচনায় একদল জিন্দাদীল, পরিচ্ছন্ন, সাহসী, আল্লাহ ভীরু ও জান্নাত প্রত্যাশী আসহাবে রাসূলের ভূমিকা বিশ্ববাসীর সামনে সমুজ্জল। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আত্মত্যাগের কারণে ইসলাম ও ইসলামী তাহজীব-তামাদ্দুন বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। জামায়াতে ইসলামীর রুকনদেরকে আসহাবে রাসূলের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন ও অনুসরণে ব্রতী হয়ে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা পালন করতে হবে।”
মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, “ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে ইসলাম ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের কোন বিকল্প নেই। মানব রচিত মতাদর্শের বিপরীতে ইসলামী আদর্শের শ্রেষ্ঠত্ব, সৌন্দর্য মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য নিজেদেরকে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। সত্য, সুন্দর ও কল্যাণকর কাজে অন্য সকলের চেয়ে জামায়াতে ইসলামীর সদস্যদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।”
শিক্ষা শিবিরে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।