বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “ইক্বামতে দ্বীনের আন্দোলন করা ফরজ। আম্বিয়া কেরামগণকে পাঠানো হয়েছে মানুষের হেদায়েতের জন্য। আর এজন্যই আম্বিয়া কেরামগণের উপরে কিতাব নাজিল করা হয়েছে। এই কিতাব রাষ্ট্রশক্তির হাতে থাকলে তাদের দিয়ে মানবজাতিকে কল্যাণের পথে পরিচালনা করা যাবে। আল্লাহ তা’য়ালা কুরআনের বিভিন্ন স্থানে ইক্বামতে দ্বীনের কাজের পুরস্কার এবং না করার ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন।”
তিনি আজ ৭জুন জুমাবার বরিশাল অঞ্চলের মহানগরী ও জেলা কর্মপরিষদ সদস্যদের শিক্ষাশিবিরে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল এর সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও বরিশাল অঞ্চল টীম সদস্য মাওলানা ফখরুদ্দিন খান রাযীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগরী আমীর মাওলানা জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, অঞ্চল টীমের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও সকল জেলা আমীরসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “মহান আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে আমাদেরকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, আল্লাহ তা’য়ালা আমাকে দেখছেন। আমার সবকিছু শুনছেন। আমরা যা কিছু করছি সবকিছুই তিনিই পর্যবেক্ষণ করছেন। সুতরাং আমাদের সকল কর্মতৎপরতা যেন হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আর এর মাধ্যমে যেন আমারা জান্নাতে পৌঁছাতে পারি।”
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “জামায়াতে ইসলামী নৈতিকতার প্রশ্নে কখনো কোন ছাড় দেয় না। কারণ, আমরা আজাবুল আজিম এবং আজাবুন আলিম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আন্দোলনে শামিল হয়েছি। যুগে যুগে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা ত্যাগ ও কুরবানীর নজির পেশ করেছেন। আমাদের লক্ষাদিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হয়েছে। তবুও আমরা আন্দোলনের পথে অটল রয়েছি।”
এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, “আম্বিয়া কেরামগণের দাওয়াতে যারা সাড়া দিয়েছিলেন তারাও মানুষ ছিলেন। নবী করীম (সা.) মানুষের কাছে কি রকমের প্রিয় ছিলেন সে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, পালক পুত্র যায়েদ অনেক বছর পরে পিতামাতাকে পেয়েও হযরত মুহাম্মদ (সা) কে ছেড়ে যাননি। বরং তাঁর কাছেই থেকে যান। নবী করীম সাল্লাল্লাহু ইসলাম তখনও নবুয়ত পাপ্ত হননি। প্রত্যেক নবী ও রাসূলগণ সামাজিক এবং মানবিক দায়িত্বশীল ছিলেন। নামাজ না পড়লে যেভাবে জাহান্নামে যেতে হবে ঠিক সামাজিক দায়িত্ব পালন না করলেও জাহান্নামে যেতে হবে। রাসূল (সা) তাঁর সাহাবাদেরকেও এভাবে সামাজিক দায়িত্ববোধ সম্পন্ন মানুষে পরিণত করেছেন।”