বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “সকল প্রতিবন্ধকতা মুকাবিলা করে ইসলামকে বিজয়ী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। ইসলাম হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত একটি জীবন বিধান। এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে আমাদের নিকট বিজয়ী জীবন বিধান হিসেবে এসেছে। তাই আমাদেরকে এ দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় থাকতে হবে। এ আন্দোলন করতে গিয়ে বিপদ-মুছিবতে ভয় পাওয়া যাবে না। তিনি মহাগ্রন্থ আল কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ইসলামী আন্দোলন করলে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচা যায়, গুনাহ মাফ হয় এবং জান্নাতে যাওয়া যায়।”
প্রধান অতিথি সরকারের সমালোচনা করে আরও বলেন, বাংলাদেশে ইসলামের কথা বললেই বর্তমান সরকার তাদেরকে জঙ্গি বলে। অতীতের ফেরাউনের ন্যায় সরকার জনগণের সাথে আচরণ করছে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শাহাদাতের আকাক্সক্ষা নিয়ে ইসলামী আন্দোলন করতে হবে। জান ও মালের কুরবানির মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়া যায়। শহীদ হতে চাওয়া জান্নাতে যাওয়ার বড় ধরনের উপায়।”
১ জুন শনিবার বগুড়া অঞ্চল আয়োজিত সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চল পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বগুড়া অঞ্চলের জেলা কর্মপরিষদ সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও রাজশাহী মহানগরী আমীর ড. কেরামত আলী। এতে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. আবুল এহসান, অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা আবদুর রহীমসহ অঞ্চলের সকল জেলা আমীরবৃন্দ।
বিশেষ অতিথি মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও নেতাদের প্রত্যেকের পরিবারকে আদর্শ পরিবার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পিতা-মাতা, ভাই বোন, সন্তান-সন্ততিসহ নিকট আত্মীয়দের সকল অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের অভিপ্রায় হতে হবে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকেই যেন মৃত্যু হয়।”
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চল পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “জামায়াতকে যদি তার লক্ষ্যে পৌঁছতে হয়, তাহলে জেলা কর্মপরিষদ সদস্যদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। রাসূল সা. এর সাহাবায়ে কেরাম-এর অনুকরণে ঈমানের দীপ্তিতে বলিয়ান হয়ে আখিরাতের সফলতার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ময়দানের সকল প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান করতে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যেই সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদেরকে মাঠে ময়দানে ত্যাগ-কুরবানির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করতে হবে। এই ত্যাগ-কুরবানি শুধু জানমালের ক্ষেত্রে নয়, এটি হতে হবে সময়ের কুরবানি, মেধার কুরবানি, আশা-আকাক্সক্ষার কুরবানি, চাওয়া-পাওয়ার কুরবানি, ভোগ-বিলাসের কুরবানি তথা সকল প্রকার নফস বিসর্জন দিয়ে আমাদেরকে মাঠে ময়দানে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। সর্বোপরি ইসলামী আন্দোললের অন্যতম প্রধান প্রাণ শৃৃঙ্খলা ও আনুগত্য সংগঠনের সকল পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের যথাযথভাবে পালন করতে হবে।”