বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, “কুরআনের বিধান চালু হলে মানুষ প্রাপ্য অধিকার ফিরে পাবে। কুরআনের সকল বিধানই সমাজে কায়েম থাকা আবশ্যক। কোনো একটি বিধান অস্বীকার করলে কাফির বলে গণ্য হবেন। আমাদের দেশে কুরআনের বিধান চালু নেই। নাগরিকগণ তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদেরকে আজীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। অঙ্গীকার করতে হবে-জীবন চলে গেলেও দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম থেকে আমরা পিছ পা হব না। প্রতিটি ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর জনশক্তিদের সকলের হক আদায় করতে হবে। ইসলামী পরিবার গঠনে যত্নশীল হতে হবে। আমলে জিন্দেগী সুন্দর করতে হবে। ভালবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে হবে।
৩০ মে বৃহস্পতিবার যশোর পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা শিহাব উদ্দিনের সঞ্চালনায় ইউনিয়ন আমীর/সভাপতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোবারক হোসাইন এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আজিজুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আরশাদুল আলম, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ও অধ্যাপক হাসানুজ্জামান এবং উপজেলা আমীর ও সেক্রেটারিবৃন্দ এবং ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ও সভাপতিগণ।
প্রধান অতিথি জনাব মোবারক হোসাইন আরও বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে ওয়াদা করে এসেছি নিশ্চয়ই তিনিই আমাদের রব। তিনি আমাদের হুকুমদাতা, বিধান দাতা, রিজিকদাতা এগুলো স্বীকার করেই আমরা দুনিয়াতে এসেছি। নিজেদের জীবনে এই কথাগুলোর বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে। পৃথিবীর সুখ-শান্তি, ভোগ-বিলাস কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। আমাদের স্থায়ী আবাস আখেরাতের জীবনকে সুন্দর করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালাতে হবে। জামায়াতকে মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করার লক্ষ্যে মাঠে-ময়দানে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। সর্বোপরি দোযখের ভয়াবহ আগুন থেকে বাঁচার জন্য কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে জীবন পরিচালনা করতে হবে।”