২২ মে ২০২৪, বুধবার, ১১:০০

যশোর পূর্ব জেলা জামায়াতের উদ্যোগে শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ব্যাটারি চালিত ভ্যান প্রদান

আত্ম-মর্যাদাশীল ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে জামায়াত কাজ করে যাচ্ছে

-মোবারক হোসাইন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন বলেন, জামায়াত স্বনির্ভর, আত্ম-মর্যাদাশীল এবং ক্ষুধা ও বেকারত্বমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশ ও জাতি গঠনে জামায়াতের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। মানবজাতির কল্যাণ সাধনই জামায়াতের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নেই জামায়াত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভাবী শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টিমূলক বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা আপনাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি। আমরা আশা করব আপনারা আমাদের দেয়া প্রতিটি জিনিসকে আমানত মনে করে এর সদ্ব্যবহার করবেন। এতে আপনারা যেমন স্বনির্ভরশীল হবেন, তেমনি দেশও স্বনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। দেশে থাকবে না কোনো বেকারত্ব এবং সমাজের মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। আমরা আশা করি, এর মাধ্যমে আপনাদের পরিবারের অভাব-অনটন দূর হবে। আপনারা ছেলেমেয়েদের কুরআন-হাদীসসহ জাগতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন। পরিবারকে আদর্শ ইসলামী পরিবার হিসেবে গড়ে তুলবেন।

২২ মে বুধবার যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলা আমীর মাস্টার নূরুন্নবীর সভাপতিত্বে কর্মসংস্থান প্রকল্পের অংশ হিসেবে বেকার শ্রমজীবী অসহায় মানুষের মধ্যে ব্যাটারি চালিত ভ্যান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোবারক হোসাইন এইসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, জেলার ৫টি উপজেলায় এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা ও জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা আবদুল মালেক খান, এডভোকেট তাজউদ্দিন আহমাদ, প্রভাষক হাবিবুর রহমানসহ উপজেলা শ্রমিকবৃন্দ।

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দেশ। এদেশের মাটি, পানি ও বাতাস ফসল ফলানোর জন্য খুবই উপযোগী। তাই সর্বাধুনিক কৃষি প্রযুক্তি নির্ভর টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে আত্ম-মর্যাদাশীল এবং বেকারত্বমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। কৃষি প্রযুক্তি নির্ভর বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করলে যেমন কর্মসংস্থান তৈরি হবে, তেমনি বাংলাদেশও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। তাছাড়া আমাদের রয়েছে বিপুল জনসংখ্যা। এই বিপুল জনসংখ্যাকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়া সম্ভব হলে প্রতিটি হাত হয়ে উঠবে কর্মের হাতিয়ার। ফলে থাকবে না কোনো বেকারত্ব ও অভাব-অনটন। এজন্য প্রয়োজন শুধু সদিচ্ছা ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা।

তিনি বলেন, কাজ না থাকলে মানুষ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। যুব সমাজ হতাশ হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মাদকাসক্তের পরিবারে কোনো সুখ-শান্তি থাকে না। পরিবারে নেমে আসে অশান্তি ও জাহান্নামের যন্ত্রণা। সমাজ হয় কলুষিত। জাতীয় জীবনে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। তাই জাতিকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে রক্ষার জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। এর প্রধান দায়িত্ব সরকারের। সরকারকেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করে কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি দেশের উচ্চবিত্তদের এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের হাতে কাজ দিতে হবে। তবেই জাতি বেকারত্বের মত অভিশাপ থেকে রেহাই পাবে। যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি গ্রহণ করলে কাজটি সরকারের জন্য খুবই সহজ হবে। দেশে আদায়যোগ্য যাকাতের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকারও অধিক। এই পরিমাণ যাকাত দিয়ে প্রতি বছর ২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব।”